হোম > সারা দেশ > ঢাকা

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পৃথক মামলায় আসামি ২২৫

উপজেলা প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের। এসব মামলায় প্রায় ২২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত ৭ নভেম্বর, বিএনপির “সিপাহী বিপ্লব দিবস” পালনের সময় বিকেলে উপজেলার ওয়াবদা মোড়ে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামপন্থী গ্রুপ এবং উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, দেশীয় অস্ত্রের প্রদর্শন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির একপক্ষের পার্টি অফিসের সামনে কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় রাখা ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভাঙচুর ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

এই ঘটনায় প্রথমে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝুনু মিয়াকে প্রধান আসামি করে এবং জনতা পার্টির উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে ২নং আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, ঝুনু গ্রুপের সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান বাবু বাদী হয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৮৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলাই শনিবার রাতে থানায় নথিভুক্ত হয়।

উপজেলা বিএনপির সদ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দিবসটি পালন করতে ওয়াবদা মোড়ে যাই, কিন্তু ঝুনু মিয়া গ্রুপের লোকজন আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অনেকে আহত হন। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং ককটেল নিক্ষেপে মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। তাই আমরা মামলা করেছি।”

অন্যদিকে, সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু অভিযোগ করে বলেন, “আমরা আমাদের পার্টি অফিসে অবস্থান করছিলাম। খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারীরা হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এজন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।”

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বিস্ফোরক আইনে মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে বন্ধ বালু উত্তোলন

ইউনিয়ন আ. লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক, দায়িত্ব পেলেন প্যানেল চেয়ারম্যান

মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে বৃত্তি মহৎ উদ্যোগ

খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে দুই আসামির পলায়ন, একজন আটক

পটিয়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর

দেবিদ্বারে জামায়াতের এমপি প্রার্থী জনসংযোগ

পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশুর মৃত্যু

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারতের ঘাঁটি, বিজিবির টহল জোরদার