পুলিশের দাবি
খুলনায় ডিবি পুলিশের অভিযানে যেসব স্থাপনাকে প্রাথমিকভাবে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা হিসেবে দাবি করা হয়েছিল, পরে তদন্তে জানা গেছে সেগুলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত ডামি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।
গত শনিবার সন্ধ্যায় অভিযানের পর ডিবি পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ছাঁচ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে চারজনকে আটক করা হয়।
তবে রোববার খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের ওসি তৈমুর ইসলাম জানান, বিস্তারিত যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, উদ্ধারকৃত সরঞ্জামগুলো অবৈধ নয়।
তিনি বলেন, বিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র উপস্থাপন করলে পুলিশ কমিশনার ও ডিসি (ডিবি)-এর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হয় এবং ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক ধারণার ভিত্তিতে অবৈধ অস্ত্র তৈরির বিষয়টি মনে করা হলেও পরে তা সঠিক নয় বলে প্রমাণ হয়েছে।
অভিযানের সময় ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ওই স্থানে অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, যেমন ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ ঢালাই করা অংশ তৈরি করা হচ্ছিল।
এছাড়া বাঁটের কাঠের অংশ ও স্প্রিং অন্য স্থানে সংযোজনের তথ্যও দেওয়া হয়। অভিযানে ৩০-৩৫টি অস্ত্রসদৃশ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে তদন্তে স্পষ্ট হয়, এসব সরঞ্জাম আসল অস্ত্র নয়; বরং বিএনসিসির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা ডামি অস্ত্র।