হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

নৌ পরিবহন উপদেষ্টাকে চট্টগ্রামে ঢুকতে দেবেন না চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রামে আসতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। একইসাথে চাঁদাবাজি নিয়ে উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও চেয়েছেন তিনি৷

বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কর্ণফুলি হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালিন কমিটি বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় চসিক মেয়র বলেন, সম্প্রতি নৌ পরিবহন উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিলেন। সেখানে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক ছিল। তারা নিউজ করেছে, মেয়র যারাই ছিল তারা সবাই ভক্ষক হয়েছে। তখন এটা আমার গায়েও পড়েছে। আমি ওনাকে (উপদেষ্টা) ফোন করে বললাম আপনি কি এই ধরনের কোনো বক্তব্য দিয়েছেন। তাহলে আমি কিন্তু প্রেস কনফারেন্স করব কালকে থেকে এবং আপনি যতক্ষণ না বিষয়টি নিয়ে সুস্পষ্ট করবেন ততক্ষণ আমি আপনাকে চট্টগ্রামে শহরে আসতে দিব না।

তিনি বললেন, না আমি বলেছি অতিতের যারা মেয়র ছিল তারা ভক্ষক ছিলো। এরপর আমি উপদেষ্টাকে বলেছি আপনি আরো একটি কথা বলেছেন, প্রতিদিন বন্দর থেকে ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। আমিতো হোল্ডিং ট্যাক্স পাচ্ছি না আপনার বন্দর থেকে। আমার ৭-৮ টনের ধারণক্ষমতার রাস্তায় ৩০-৪০ টনের গাড়ি চলাচল করছে বন্দরের। আমার সমস্ত রাস্তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বন্দরের কারণে। ৩০০-৪০০ কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে আমাকে রাস্তাগুলো মেরামতে। তাহলে চাঁদাবাজি কারা করছে আপনি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ তুলে স্পষ্টভাবে বলতে হবে। আপনি আমার ন্যায্য দিচ্ছেন না বৎসরে ২০০ কোটি টাকা। আর বলছেন, প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। এর অর্থ কী? তাহলে আপনি হোল্ডিং ট্যাক্স না দিয়ে চাঁদাবাজদের উৎসাহিত করছেন৷ এটা হতে পারে না।

বছরে চসিকের শিক্ষা খাতে ৭২ কোটি টাকা ভুর্তকি দিতে হয় উল্লেখ করে চসিক মেয়র বলেন, আমরা শিক্ষকদের ভালো মতো বেতন দিতে পারছি না। হোল্ডিং ট্যাক্স আমরা নিচ্ছি জনসাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য, রাস্তাঘাট মেরামত করার জন্য, পরিষ্কার করার জন্য কিন্তুু সেটি পারছি না। অসংখ্য রাস্তাঘাটে খানাখন্দ রয়ে গেছে। আপনি স্পষ্টভাবে বলুন, কারা বন্দরে চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব।

তিনি আরো বলেন, গত সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বন্দর যেই ব্যাংকগুলোতে কোটি কোটি টাকা জমা করেছে সেই ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পরও টাকা জমা রাখা হয়েছে। সেই টাকা কারা নিয়েছে, কিভাবে নিয়েছে সেটি চট্টগ্রামবাসী জানতে চায় এবং জবাব দিতে হবে।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা এসব অনিয়ম নিয়ে লিখুন। এগুলো চট্টগ্রামের সম্পদ, রাষ্ট্রের সম্পদ, আপনার ও আমার সম্পদ। আর আপনাদের জানাতে চাই, বস্তুনিষ্ঠতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোন ভুল নিউজ করা হয় তখনি সেটি সেই ব্যক্তিকে নয় শুধু সাংবাদিকতাকেও কলুষিত করে৷ সংবাদে বস্তুনিষ্ঠতা সাংবাদিকতাকে উজ্জল করে৷

এসময় তিনি নৌ পরিবহন উপদেষ্টার উদ্দেশ্য বলেন, কোন ধরনের প্রমাণ না থাকলে এ ধরনের কথা বলাও উচিৎ নয়। কাজেই আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে কে কিভাবে এই চাঁদাবাজি করছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুফতা বুশরা মিশমা, সাংবাদিক ওসমান গণি মুনসুর প্রমুখ।

নরসিংদীতে শিগগিরই শুরু হবে ‘কমান্ডো অপারেশন’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হবিগঞ্জে ডিসি-এসপির সঙ্গে চার জামায়াত প্রার্থীর সাক্ষাৎ

লোহাগাড়ায় অটোরিকশা চালকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

আমি যা বলবো তাই আইন, আল্লাহর হুকুম: বিএনপি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম

যে আসনে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

ঈশ্বরদীতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক

এ প্রজন্মকে দাবায় রাখতে চাইলে পরিণতি ভয়াবহ হবে: শিবির সভাপতি

ঝুঁকিপূর্ণ কুমিরা ঘাটের মায়া ছাড়তে পারছে না বিআইডব্লিউটিসি