আমার দেশ এ সংবাদ প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন
পটুয়াখালীর মহিপুর-আলিপুর মৎস্য বন্দরজুড়ে জাটকা ইলিশ ধরা, বিক্রি ও বাজারজাতকরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধ বেচাকেনার সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। শনিবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ নিজে বন্দর এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যালোচনা করেন।
এর আগে শনিবার সকালে ‘মহিপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধন, নেই প্রশাসনের নজরদারি’ শিরোনামে আমার দেশ অনলাইন–এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকা সত্ত্বেও বন্দরের আড়তগুলোতে প্রতিদিন অর্ধকোটি টাকার জাটকা কেনাবেচা হচ্ছে, আর প্রশাসনের অভিযান কেবল মহাসড়কেই সীমাবদ্ধ।
প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎপরতা দেখা যায়। ইউএনও কাউসার হামিদ মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি মাছ আড়ত, ট্রলার ঘাট ও বাজার এলাকা ঘুরে দেখেন এবং ব্যবসায়ীদের জাটকা ধরা ও বিক্রি বন্ধে কঠোরভাবে সতর্ক করেন।
ইউএনও কাউসার হামিদ আমার দেশকে বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কেউই অপরিপক্ব ইলিশ (জাটকা) ধরতে পারবে না। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলেদের বৈধ মাছ ধরায় উৎসাহিত করা ও সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিতভাবে নজরদারি পরিচালনা করা হচ্ছে।
এর আগে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের একাধিক সূত্র জানায়, সাগরে বড় ইলিশ না থাকায় জেলেরা বাধ্য হয়েই জাটকা ধরছে। বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা না থাকায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে না বলেও অভিযোগ ওঠে।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনগুলোতে বন্দর এলাকার ভেতরে নিয়মিত ও সমন্বিত অভিযান চালানো হবে, যাতে কেউ নিষিদ্ধ জাটকা ধরা বা বিক্রি করতে না পারে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে এই তৎপরতা অব্যাহত না থাকলে ইলিশের ভবিষ্যৎ প্রজনন মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।