জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়ে খুশি কক্সবাজারের প্রথম শহীদ আহসান হাবীবের পরিবার। এ বিচারের মাধ্যমে আজ সত্যের জয় হয়েছে। শুধু ফাঁসির রায় হলেই হবে না। ভারতে পলাতক খুনি হাসিনাকে ধরে এনে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রায় কার্যকর করতে হবে।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার বিচারের রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন নিহত জুলাইযোদ্ধা শহীদ আহসান হাবীবের ছোট ভাই চকরিয়া সিটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রায়হান।
তিনি বলেন, না হলে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে দানব হাসিনা ও তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর হাতে সারাদেশে নির্মমভাবে খুন হওয়া দু’সহস্রাধিক জুলাই শহীদ তাদের আত্মার শান্তি পাবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার পেটোয়াবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের বিচারের রায় ঘোষণার খবর শুনার পর থেকে পুত্রশোকে অঝোর নয়নে কাঁদছেন নিহত জুলাই যোদ্ধা শহীদ আহসান হাবীবের মা হাছিনা বেগম। নিজ বাড়ির আঙিনায় সাংবাদিকের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে আড়াল থেকে কথা বলেন পুত্রশোকে মুহ্যমান নিহত জুলাই যোদ্ধা শহীদ আহসান হাবীবের মা হাছিনা বেগম। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার রায় দেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা দাবি করে তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফলে বিচারের ক্ষেত্রে আজ ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। খুনি হাসিনার গণহত্যার বিচারের রায়ে আমরা খুশি। তবে আরো বেশি খুশি হতাম কক্সাবাজারসহ সারাদেশে যে সকল সন্ত্রাসীরা জুলাই যোদ্ধাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ওই সকল সন্ত্রাসীদের ধরে বিচারের আওতায় আনলে। হাছিনা বেগম বলেন, আহসান হাবীবকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। সে চকরিয়া সরকারি কলেজে বিএ তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় কক্সবাজার সদরে বিআরবি ক্যাবলসের ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতো। চাকুরির সুবাদে তাকে প্রায় সময় কক্সবাজার শহরেই থাকতে হতো। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন আন্দোলনে অংশ নিয়ে এত অল্প বয়সে আমার আদরের ছেলেকে হারাতে হবে তা কখনো কল্পনা করিনি। ছেলেকে হারালেো দেশ দানবমুক্ত হয়েছে তাতেই আমরা খুশি।