আদালতে আত্মসমর্পণ করেও পার পেলেন না কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বিশেষ শ্রেণির ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম ওরফে সিআইপি আতিক। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহিম এই আদেশ দেন। কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উচ্চ আদালতের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে আতিকুল ইসলাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন।
কক্সবাজার শহরের আলোচিত বাঁকখালী নদীর দখল উচ্ছেদে বাধা, পুলিশের উপর হামলা এবং ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্ররোচনা ও সহযোগিতার অভিযোগে করা তিনটি মামলায় ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম ছিলেন দুই নাম্বার তালিকাভূক্ত আসামি।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ বাদী হয়ে দায়ের করা তিনটি মামলায় বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আতিকুল ইসলাম সিআইপি। মামলায় তার বিরুদ্ধে বাঁকখালী নদীর উচ্ছেদ কার্যক্রম ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার আতিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলমসহ ৫০ জনের অধিক আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, আতিকুল ইসলাম দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল, সমৃদ্ধি মাল্টিপারপাস এ্যাকুয়া কালচার ফার্টিলিটি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ও উন্নয়ন রেডি মিক্স কনক্রিটের স্বত্বাধিকারী।
তিনি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। তার বাবা মরহুম নুরুল ইসলাম কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী তার ভগ্নিপতি।