কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় অপহরণ করেছে পাহাড়ি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। অপহৃত নুরুল ইসলাম (৫০) ওই এলাকার শামশুল আলমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একদল ভারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হঠাৎ নুরুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেয়। দরজা বন্ধ পেয়ে তারা প্রথমে বাড়িতে গুলিবর্ষণ করে। পরে বাড়ির চাল ও দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে নুরুল ইসলামকে টেনেহিঁচড়ে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
অপহৃতের ছেলে কামাল হোসেন জানান, রাত ৯টার দিকে হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে তারা দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে পরে ঘরের চাল ভেঙে ঢুকে তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাসীদের হাতে ছিল ভারী অস্ত্র। ঘটনাস্থল থেকে যে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে তা সম্ভবত বিদেশি অস্ত্রের।
কামাল হোসেন প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন দ্রুত তার বাবাকে উদ্ধার করার।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসীরা শুধু অপহরণই নয়, বাড়ির সবাইকে মারধর করে ঘরের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। হামলার সময় গুলিবর্ষণের শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারের পাশাপাশি এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
টেকনাফ ১৬ এপিবিএনের আওতাধীন লেদা ২৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম রাজু জানান, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হটাতে ৬১ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে কয়েকটি অস্ত্রধারী ডাকাত গ্ৰুপ রয়েছে। তারাই ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে।
তাকে উদ্ধারে পাহাড়ে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।