লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর করার পর ২২ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময়ে ভাঙচুর করা হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিনের নিজানের ছবি ও ব্যানার, ফ্যাস্টুন।
সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর রাত ১০ টার দিকে উপজেলার আলেকজান্ডার বাজারে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চর আলগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর আহমেদ জুয়েল বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে জেএসডির জনসভা চলছিল । এরআগে, জনসভায় রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরাফ উদ্দিন আযাদ সোহলকে বিশেষ অতিথি ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালায় জেএসডি। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে জেএসডির সমাবেশে সোহেল যেন উপস্থিত না থাকেন ওই বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করে চিঠিও দেয় উপজেলা বিএনপি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সোহেলকে সমাবেশে আসতে বারণও করা হয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জেএসডির জনসমাবেশে সোহেল নিজে উপস্থিত না থাকলেও রামগতির বয়ারচর ও চরগজারিয়া থেকে কয়েকশ জলদস্যু এনে প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর তান্ডব চালিয়ে নিজের ক্ষমতার জানান দেয় এই আ.লীগ নেতা সোহেল। আওয়ামী লীগের দোসর সোহেলকে দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
আহতদের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন- রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ, পারভেজ খান, চরআলগী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নিয়াজ মাহমুদ, চররমিজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাকিব, চরআলগী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন বাবুল, ছাত্রদল নেতা-মো. রাকিব, অন্ত, বাধন, মো. রিফাত, শিবলু, রিয়াজ ব্যাপারি, বিএনপি নেতা মো. বাহার, মো. রাশেদ, আব্দুল ওয়ারেছ, মো. শাকিল, মো. সোহেল, মো. দেলোয়ার, মো. হাসান তারেক, মো. রকি, মো. বাপ্পি ও আরাফাত হোসেন অভি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-রামগতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ উদ্দিন, রামগতি পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মর্তুজা আল আমিন, বিএনপি নেতা দিদার হোসেন খন্দকার, চরআলগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর আহমদ জুয়েল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শিবলী নোমান, সদস্য সচিব শাহ মোহাম্মদ শিব্বির, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইরাজ মাহমুদ বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ খান।
অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরাফ উদ্দিন আযাদ সোহেল বলেন, প্রশাসনের বারণ থাকায় তিনি জেএসডির জনসমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন না। তাছাড়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বাসায় রেস্টে আছেন। লোকমুখে শুনেছেন বিএনপির লোকজন জেএসডি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে জেএসডির কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কোনো ডাকাত বা দস্যুবাহীনির সাথে তার সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই। জেএসডির জনসমাবেশে তিনি কাউকে যোগ দিতেও উদ্বুদ্ধ করেননি।
রামগতি থানা ইনচার্জ (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, জেএসডি জনসভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জেএসডির মধ্য কিছু মারামারি ঘটনা ঘটে। বিস্তারিত খোঁজ নিতে তদন্ত চলছে।