হোম > সারা দেশ > ঢাকা

শতবর্ষ ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে গোপালপুরের শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয়

ইকবাল হোসেন খান, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)

গোপালপুরে শতবর্ষ ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয়। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীর হেমনগর এলাকায় অবস্থিত এই বিদ্যালয় এখন মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি এখনো গোপালপুরে শিক্ষার অন্যতম আলোকবর্তিকা হিসেবে পরিচিত।

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় জমিদার পরিবারের কৃতী সন্তান হেমচন্দ্র চৌধুরী। তিনি ছিলেন তৎকালীন হেমনগর অঞ্চলের এক প্রভাবশালী জমিদার ও সমাজসেবক। তিনি তার সৎ মা শশীমুখী দেবীর নামে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ একর জমি নিয়ে ওই ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়টি গড়ে তোলেন।

১৯০০ সালে জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী ও সমাজসেবক শশীমুখী দেবীর যৌথ প্রচেষ্টায় হেমনগর শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । এই বিদ্যালয়টি গোপালপুরে প্রথম এবং বৃহত্তম ময়মনসিংহের দ্বিতীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। প্রতিষ্ঠাকালে বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন গিরিশ চন্দ্র সেন। সে সময় গ্রামীণ অঞ্চলে মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ ছিল খুবই সীমিত। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেই বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়। প্রথমদিকে এটি ছিল একটি টিনশেড ভবন ও অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে এই বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। পরে স্থানীয় দানশীলদের সহায়তায় এটি পূর্ণাঙ্গ উচ্চবিদ্যালয়ে পরিণত হয়।

পরবর্তীকালে এটি সাধারণ বাংলা মাধ্যম উচ্চবিদ্যালয়ে পরিণত হয়।

হেমনগর রাজবাড়ীর পাশেই বিদ্যালয়টির অবস্থান। চারপাশে বিশাল খেলার মাঠ, সবুজ বৃক্ষরাজি আর খোলা প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা এই বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ ছিল। এটি প্রায় ১২৫ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে।

বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক-কর্মচারীর তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষাসহ পাঠক্রমের পাশাপাশি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে। অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্প্রতি ১৯৭৪ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যেখানে পুরোনো স্মৃতি আর বিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার পথে অগ্রসর হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদ্যালয়ের বহু গুরুত্বপূর্ণ দলিল নষ্ট হয়ে যায়। পরে ২৯টি কাঠের আলমারিতে সংরক্ষিত নথিপত্র উলু পোকার আক্রমণে বিনষ্ট হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাব রয়েছে, কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরি স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. গোলাম রোজ (ভিপি) ও

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টির গৌরবময় ইতিহাস ধরে রেখে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

কৃষকের ৬ শতাধিক কলা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিসহ ছয় মামলায় গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা

বিআরটি উড়াল সড়কের নিচ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

বিদ্যালয়ের চারদিকে থইথই পানি, তাও গোপালগঞ্জে

দেশের উন্নতি করার শিক্ষা নিতে হবে: বিচারপতি মমিনুর রহমান

গ্যাস-বিদ্যুৎ না থাকায় গড়ে ওঠেনি শিল্প-কারখানা

কাপাসিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ

ইসলামী আন্দোলনের লোক হয়েও নিক্সন চৌধুরীর ‘মুরুব্বি’, এবার গ্রেপ্তার

নরসিংদীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরো এগুবে: গভর্নর