মহাদেশের অন্যতম ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার। কারখানার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, কারখানার কোনো একটি অংশে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত ৩০ শে অক্টোবর রাত প্রায় ২টা থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
আর উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কারখানাটি। এর ফলে এ মৌসুমে ইউরিয়া সার সংকটের আশা করছেন সচেতন মহল। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার সকালে কারখানা পরিদর্শন করেন বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান।
প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নরসিংদীর পলাশে প্রতিষ্ঠা করা হয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) সরফরাজ খান জানান, কারখানাটির উৎপাদন গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকে কারখানায় আর কোনো ইউরিয়া সার উৎপাদন হচ্ছে না। কি কারণে কারখানায় এর ত্রুটি দেখা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আমাকে প্রদান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি তিন দিনের মধ্যে কারখানা বন্ধের কারণ ও প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়েছে।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্য) আতিকুর রহমান খান জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগ পর্যন্ত বস্তা এবং খোলা অবস্থায় প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। গত অর্থবছর কারখানা থেকে ৮ লাখ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন। এই কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০ লাখ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) মো. ফখরুল আলম জানান, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই ইউরিয়া সার কারখানায় গত অর্থবছরে আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেও অতিরিক্ত সার উৎপাদন করেছে। গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এ জন্য যে কতদিন উৎপাদন বন্ধ থাকবে তার জন্য খুব বেশি সার সংকট হবে না বলে আশা করেন তিনি। কারণ কারখানা থেকে উৎপাদিত বস্তা এবং খোলা অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে সার গুদামে রয়েছে।