হোম > সারা দেশ > ঢাকা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ চরম দুর্ভোগে

পাঁচ বছর ধরে বন্ধ চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কের উন্নয়নকাজ

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর

অর্থসংকট, জমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও প্রশাসনিক অচলাবস্থায় পাঁচ বছর ধরে থমকে আছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কের উন্নয়নকাজ। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ৩৫ কিলোমিটার চার লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে মাত্র ৬ কিলোমিটার কাজ। বাকি ২৯ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়নকাজ পড়ে রয়েছে অনিশ্চয়তায়।

জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শরীয়তপুর জেলা শহরের মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহীমপুর পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করতে ৮৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সড়ক প্রশস্ত করতে প্রয়োজন হয় ৯৫ দশমিক ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) চাহিদা অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪৩১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। কিন্তু ৫ বছরে ১৯টি এলএ কেসের মধ্যে ১১টির মাধ্যমে মাত্র ৪৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতেই ব্যয় হয়ে যায় ৪৩০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ফলে বাকি ৪৬ দশমিক ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য হাতে আছে মাত্র ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অথচ এই জমি অধিগ্রহণ শেষ করতে প্রয়োজন আরো প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, যা প্রকল্প ব্যয়ে ধরা নেই।

অধিগ্রহণ হওয়া ৪৯ হেক্টর জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ পেলেও বাকি জমির মালিকরা শুধু নোটিস পেয়েছেন। পাঁচ বছরেও তাদের কেউ ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। এতে জমি বিক্রি, ঘর মেরামত এমনকি ন্যূনতম উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাপরাইল এলাকার ইব্রাহীম সরদারের ছয় শতাংশ জমির ওপর টিনের তৈরি বসতঘর ও দোকানঘর রয়েছে। সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের নোটিস থাকায় ঘর দুটি সংস্কার করতে পারছেন না তিনি। বৃষ্টি হলেই ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। তার ছেলে রাব্বি সরদার বলেন, বাবা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। দোকানের আয়েই সংসার চলে। ঘর ভেঙে যাচ্ছে কিন্তু  মেরামত করলে ক্ষতিপূরণ পাব না—এই ভয়ে কিছুই করতে পারছি না। পাঁচ বছর ধরে ডিসি অফিসে ঘুরেও কোনো ফল পাইনি।

সড়কটি ৩৩ ফুট প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীত করতে ২০২০ সালে চারটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ইব্রাহীমপুর থেকে বালারবাজার পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকায় জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ায় কেবল ওই অংশের কাজই শেষ করা সম্ভব হয়।

বাকি তিনটি প্যাকেজে জমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদাররা কাজ শুরু করতে পারেননি। এরপর চার দফা নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হলেও প্রতিবারই কাজ শুরু না হওয়ায় টেন্ডার বাতিল করতে হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আবার মেয়াদ বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সওজ।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ৩৫ কিলোমিটার সড়কের চার লেনের ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের অনুকূলে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল তা শেষ হয়েছে। এখন বাকি জমি অধিগ্রহণ করতে আরো ৩০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। বরাদ্দের ওই টাকা পেতে হলে ডিপিপি সংশোধন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় ঠিকাদার তিনটি প্যাকেজের কাজ করেনি। তাই ২০২৩ সালে টেন্ডার বাতিল করতে হয়েছে। এরপর যতবার টেন্ডার দিয়েছি ততবারই প্রকল্পে ধরা ব্যয়ের মধ্যে কাজ করতে রাজি হয়নি ঠিকাদার। তাই বারবার টেন্ডার বাতিল করতে হয়েছে। এখন পুনরায় টেন্ডার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য ডিপিপি সংশোধন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, জমি অধিগ্রহণের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। বিষয়টি বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচনা করে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভাঙ্গায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

কুয়াশার বাধা কাটিয়ে ফের সচল শরীয়তপুর–চাঁদপুর নৌপথ

দিক হারিয়ে পদ্মার চরে লঞ্চ, তিন ঘণ্টা পর শতাধিক যাত্রী উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৩৫ বস্তা টাকা

ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর–চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

কিশোরগঞ্জে ‘শহীদ ওসমান হাদি সড়ক’ উদ্বোধন

যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র-মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় মা ও শিশুকন্যার মৃত্যু

ঘন কুয়াশায় আবারো দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ