হোম > সারা দেশ > খুলনা

খুলনায় চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার, ২৪ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি

খুলনা ব্যুরো

খুলনায় আদালতের সামনে প্রকাশ্যে দুই সন্ত্রাসীকে গুলি করে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পরও কোনো মামলা হয়নি। একই সঙ্গে জড়িত কাউকে সনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খুলনা আদালত চত্বরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

খুলনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কেউ এখনও মামলা করেনি। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ত.ম. রোকনুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। সকল বাহিনী মাঠে নেমেছে। তদন্তের স্বার্থে ৭-৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে কাজ চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।

নিহত হাসিব হাওলাদারের ছোট ভাই সুমন হাওলাদার জানান, (সোমবার) আছরের নামাজের পর রূপসা চর মসজিদে তার ভাইয়ের জানাজা ও লবণচরা মালেক হাজী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে হত্যাকাণ্ড আদালতের সামনে হওয়ায় শহরের আইনজীবী, বিচার-প্রার্থী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সবাই।

খুলনায় বেপরোয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা : গুলিতে নিহত দুই যুবক খুলনার ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ পলাশের সক্রিয় সহযোগী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আরেক ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ রনি চৌধুরী ওরফে ‘গ্রেনেড বাবুর’ সহযোগীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩০ মার্চ সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এ সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ফজলে রাব্বিও ছিলেন। উদ্ধার করা হয় পিস্তল, শটগান, কাটা বন্দুক, গুলি, কুড়াল, চাপাতিসহ দেশি অস্ত্র। ওই ঘটনায় হওয়া অস্ত্র মামলায় ফজলে রাব্বিকে ৬ নম্বর এবং হাসিব হাওলাদারকে ১১ নম্বর আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলায় হাজিরা দিতে তারা আদালতে গিয়েছিলেন।

পুলিশের তথ্যমতে, হাসিব হাওলাদারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সোনাডাঙ্গা থানায় এবং ২০১৮ সালে লবণচরা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি, ২০২৩ সালে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা, ২০২৫ সালে সোনাডাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে, সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে মামলা আছে।

ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে রূপসা থানায় ২০১৬ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে, ২০২৫ সালে সোনাডাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার), দুটি হত্যাসহ মোট ছয়টি মামলা আছে।

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি চৌধুরী ওরফে ‘গ্রেনেড বাবু’ গ্রুপের সঙ্গে পলাশ গ্রুপের দ্বদ্ব আছে। কয়েক দিন আগে কারাগারের ভেতরেও দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না, তদন্ত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বেলা সোয়া ১২টার দিকে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটেকের সামনের রাস্তায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে সদর থানার নতুন বাজার চর খ্রিষ্টান গলির মান্নান হাওলাদারের ছেলে হাসিব হাওলাদার (৪৫) এবং রূপসা উপজেলার বাগমার গ্রামের মো. ইজাজ শেখের ছেলে ফজলে রাব্বি রাজন (৩০) কে হত্যা করে।

আমরা ৮ দলের বিজয় চাইনা, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই

খুলনায় এইচআইভির থাবা সংক্রমণ-মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী

মেহেরপুরে ১০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, ভারতীয়সহ আটক ২

যশোরে পাঁচ বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলিসহ যুবক আটক

খুলনায় আদালত চত্বরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ২

মোংলায় ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ

অনিয়ম-দুর্নীতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে মহেশপুরের সৌরবাতি প্রকল্প

খুলনায় আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন

চুয়াডাঙ্গা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ফোরামের নিরঙ্কুশ জয়

ঝিনাইদহে ভাতিজার হাতে চাচা খুন