কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যাত্রীবাহী সিএনজির সাথে মাল-ভর্তি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজিতে থাকা শিশুসহ ছয়জন যাত্রী এবং দুই গাড়ির চালকসহ নয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের পাকুন্দিয়া ও কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ৩টার দিকে পাকুন্দিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়কের কোদালিয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পেট্রল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.বিল্লাল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের চামড়াঘাট থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি (গাজীপুর-থ ১১-৯৪২১) গাজীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বেলা ৩টার দিকে পাকুন্দিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়কের কোদালিয়া চৌরাস্তা এলাকা সংলগ্ন পেট্রল পাম্পের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা মাল-ভর্তি একটি পিকআপের (ঢাকা মেট্রো-ন-১৬-০৩৩৩) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং পিকআপের সামনের অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংঘর্ষে সিএনজিতে থাকা দুইজন নারী, একজন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চালক এবং পিকআপ চালকসহ দুজন মোট ৯জন আহত হন। তার মধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া ও কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আহত অসিম চন্দ্র দাস বলেন, আমার বাড়ি ইটনা। গাজীপুর যাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ চামড়াঘাট থেকে সিএনজিতে উঠেছি। গাড়িতে এক শিশুসহ আরও চারজন যাত্রী ছিলো। তাদের কাউকেই চিনি না।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো.সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতে করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। তারা সবাই গুরুতর আহত। এই মুহূর্তে তাদের নাম-পরিচয় জানা যাচ্ছে না।
পাকুন্দিয়ার ইউএনও মো.বিল্লাল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার তথ্য মাত্রই পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস ও সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।