সোমবার ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ চলাকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা একশত থেকে দেড়শতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ ইউসুফ বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালনকালে সাড়ে ১০টার দিকে ট্রেনটি আটকায় আন্দোলনকারীরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে আন্দোলনকারীদের নেমে যেতে বলেন এক পুলিশ সদস্য। এই নিয়ে ট্রেনটিতে ইট-পাথর ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে।
পরে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া কর্মীরা এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতসহ ট্রেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ভৈরববাসীর দীর্ঘদিনের দাবির মুখে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ভৈরবকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।
পরে ওই বছরের অক্টোবর মাসে কিশোরগঞ্জকে ভেঙে কটিয়াদী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, কুলিয়ারচর উপজেলার সমন্বয়ে “ভৈরবকে” দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন সরকার। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।
সেই ন্যায্য দাবি আদায়ে তারা বর্তমানে আবারও মাঠে নেমেছেন। মাসব্যাপী ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
আজ নদীপথ অবরোধ
এদিকে ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে বিগত সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মঙ্গলবার ভৈরবে নদীপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনকারী সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।
এর আগে ১৮ অক্টোবর শনিবার লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় মানববন্ধন করা হয় একই দাবিতে। সেদিন সরকারকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে ২৬ অক্টোবর সড়কপথ অবরোধ, ২৭ অক্টোবর রেলপথ অবরোধ ও ২৮ অক্টোবর নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দেয়া হয়।