প্রণোদনার ভাগ না পেয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সেই ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বহিষ্কৃত রাহাত হাসান কাইয়ুম উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব। গত ৫ নভেম্বর বুধবারের এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সিদ্ধান্তে দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নকলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বৃহস্পতিবার সদস্য পদসহ দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
জানা যায়, বুধবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে রাহাত ও ফজলু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে সরকারী কৃষি প্রণোদনায় ছাত্রদলের ভাগ দিতে হবে বলে দাবি করেন এবং নিজেদের পছন্দের লোকেদের তালিকাভুক্ত করতে বলেন। এ সময় কৃষি কর্মকর্তা রাজনৈতিকভাবে কারও ভাগ দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমকে জানালে রাহাত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং সহকারী ফজলুকে নিয়ে অফিসের ভেতরেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন মেহেদীকে মারধর ও হেনস্তা করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম ও তার সহযোগী ফজলু।
এদিকে ঘটনার পর বুধবার রাতেই নকলা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম ও সহযোগী ফজলুকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মাওলা এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।