রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের হুমকি ও হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। তাতে স্থানীয় সাংবাদিকরা এনসিপির সকল কার্যক্রম কভারেজ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) নগরীর পর্যটন মোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলন কক্ষে দু’এনসিপি নেতা সংবাদকর্মীদের বের হওয়ার নির্দেশ দেন, তালাবদ্ধ করে আগুন দেয়া এবং খাবার বন্ধের হুমকি দেন। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সাংবাদিকরা এনসিপির সকল কার্যক্রম কভারেজ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা যায়, এনসিপির বিদ্রোহী ত্রিশ জনের একটি দল জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল আলমকে আওয়ামী লীগের দোসর অভিযোগ এনে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে পর্যটন মোটেলের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন তারা। অন্যদিকে, শোয়েব এবং মেহেদী নামক এনসিপির দু’নেতা নবগঠিত কমিটির সংবাদ সম্মেলন ঢুকে সাংবাদিকদের প্রতি চড়াও হন এবং বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। বের হয়ে না গেলে তালাবদ্ধ করে রুমে আগুন দেয়া এবং খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রাখারও হুমকিও দেন তারা। এ সময় সংবাদকর্মীরা প্রতিবাদ করলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংবাদকর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। জড়িত দু’জনের বিচার এবং এ ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এনসিপির সকল কার্যক্রমে মিডিয়া কাভারেজ দেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানান। সন্ধ্যায় সংবাদকর্মীরা পর্যটন মোটেল এলাকা ছেড়ে এলেও সেখানেই অবস্থান নিয়ে বসে ছিলো এনসিপি নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা পেশাগত দায়িত্বপালন করতে সেখানে আসি। দু'পক্ষের কার্যক্রমই আমরা তুলে ধরব এটাই আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু হঠাৎ দুটি ছেলে তাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সাংবাদিকদের উপর ক্ষোভ ঝাড়ে। এ সময় তারা সাংবাদিক তালা মারা, রুমে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া এবং খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। আমরা তাদের দু’জনের বিচার চাই। এর সঠিক সুরাহা না হলে এনসিপির কার্যক্রম কাভারেজ দেয়া বন্ধ থাকবে।
এদিন নবগঠিত কমিটির সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে পাঁচজন সদস্য আওয়ামী দোসরকে আহ্বায়ক ঘোষণার অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন। তারা হলেন, তারিকুল ইসলাম, মাসুদ রানা, রাকিবুল ইসলাম, হাবিবুর মিঠু রহমান সরকার এবং মিঠু।