হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

বগুড়ায় জব্দকৃত সহস্রাধিক যানবাহন খোলা আকাশের নিচে

সবুর শাহ্ লোটাস, বগুড়া

বগুড়ায় প্রশাসনিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতায় বছরের পর বছর ধরে জব্দ করে ফেলে রাখা হয়েছে সহস্রাধিক যানবাহন। বিভিন্ন সময় পুলিশ দ্বারা জব্দকৃত এসব যানবাহন জেলা পুলিশ লাইনসের মালখানা চত্বর ও বিভিন্ন থানার মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের সুরক্ষা বেষ্টনী ছাড়াই খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের এসব যান।

সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়ার বিভিন্ন থানার মাঠ, ডিবি অফিসের মালখানা, কোর্টের মালখানা ও পুলিশ লাইনসের মালখানা চত্বর পরিত্যক্ত যানবাহনের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব স্থানে এক হাজারেরও বেশি যানবাহন ফেলে রাখা হয়েছে। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ট্রাক; যেগুলোর অধিকাংশই বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী।

বগুড়া জেলা পুলিশের হিসাবে বিভিন্ন থানার পুলিশ দ্বারা জব্দ করা মোট ৫৮৭টি যানবাহন রয়েছে। জব্দকৃত এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোবাস ৯টি, প্রাইভেটকার ৪৯টি, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ৫৮টি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ১৯টি, মোটরসাইকেল ৪১৫টি, ইজিবাইক ২৮টি, ভ্যান পাঁচটি ও সাইকেল চারটি। এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলায় আরো ২৪৬টি গাড়ি জব্দ করা হয়। এছাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্বারা জব্দকৃত আড়াই শতাধিক যানবাহনও অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে।

অনেকে অভিযোগ করেছেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় বছরের পর বছর এসব যানবাহন ফেলে রাখা হয়েছে। এসব গাড়ি এখন ভাঙ্গারিতে পরিণত হয়েছে। এতে মামলার আলামত নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার সম্পদ ভাঙ্গারিতে পরিণত। এদিকে নিলামের ব্যবস্থা না থাকায় কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান এগুলো সরানোর দায় নিচ্ছে না। কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানিতে ভিজে জং ধরে গাড়ির ইঞ্জিনসহ কাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে।

বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, পুলিশের হাতে এসব গাড়ি সংরক্ষণের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। আলাদা গ্যারেজ বা মালখানা না থাকায় গাড়িগুলো খোলা আকাশের নিচেই ফেলে রাখতে হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, বগুড়ায় গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন ধরনের ১৩১টি যানবাহন আটক করা হয়েছে। যদি সরকারি বিধি মোতাবেক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে গাড়িগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা যেত।

বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ বলেন, জব্দ যানবাহনের জন্য পৃথক মালখানা থাকলে হয়তো সংরক্ষণ করা যেত। কিন্তু এখানে তা নেই। বিগত সরকারগুলো এলোমেলোভাবে কাজ করেছে। ফলে মামলার আলামত নষ্ট হচ্ছে। জেলা জজের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

বগুড়া সদর থানার সদ্য সাবেক ওসি হাসান বলেন, সদর থানায় মাদক মামলায় বেশি যানবাহন আটক হয়ে থাকে। গাড়িগুলো রাখার জন্য যতটুকু জায়গা দরকার, ততটুকু না থাকায় কোর্টের মালখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সারের দাবিতে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে বিক্ষোভ

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তেল আত্মসাতের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

ঈশ্বরদীতে বিশ্বের পাঁচ দেশের ক্বারীদের তাকবিরে মুখরিত

অসুস্থ বিএনপি নেতাকে দেখতে গেলেন জামায়াতের এমপি প্রার্থী

আট কুকুরছানা হত্যা মামলার আসামি নিশির জামিন

পুলিশের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার লিটার পাম তেল আত্মসাতের অভিযোগ

নওগাঁয় বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, উদ্যোগ নেই মশা নিধনের

পোলট্রি বর্জ্যে দূষিত বুড়ি ভোগাই নদীর পানি

শাজাহানপুরে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মচারীর প্রকাশ্যে ঘুষ কাণ্ড

অবশেষে ভারত গেলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন ও তার ছেলে