নারীরাই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বার বার বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে বলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমাজের নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বাচনী অগ্রাধিকার। আপনাদের এই বগুড়ার সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই তারেক রহমানকে দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের মাটিতে থাকতে দেয়নি ফ্যাস্টিষ্ট সরকার।
তিনি বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতা গেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারীদের সক্ষম করে তুলবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও তার ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিতে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়া-৩ আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া এলাকার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জননেতা আব্দুল মহিত তালুকদারের নির্বাচনী প্রচারণা উপলক্ষে আয়োজিত উপজেলা সদরের গো-হাট ময়দানে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
এসময় বক্তব্যে নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, এখন আর স্লোগান ও বিশাল সমাবেশের সময় নয়, বরং ঘরে ঘরে গিয়ে সংগঠিত হওয়ার সময়। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দলের ভাবনা প্রচার করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার অভাব ও যৌতুকের কারণে নারীরা আজও নিপীড়িত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই যৌতুক-বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছিলেন, যা নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক। শহীদ জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারীরা রাজনীতি ও সমাজে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বগুড়া- ৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মহিত তালুকদার, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুল হক টিক, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান সহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।