শৈশবের টানে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ফিরলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। প্রিয় শিক্ষক ও বন্ধুদের পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। মনখুলে কথা বলেন বন্ধুদের সাথে। যেন ফুটে উঠেছে ৬৩ বছর আগের স্মৃতি। শৈশবের স্মৃতিকে ভাসিয়ে তুললেন চোখের সামনে।
তিনি রোববার সকালে শৈশবের বিদ্যালয় মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে প্রিয় শিক্ষক ও বন্ধুদের সাথে হাসিতে মেতে উঠেন। যেন ঘুরে ফিরে ৬৩ বছরের শৈশবে ফিরেছেন।
তার স্মৃতিবিজরিত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকার সুধীজনের সাথে একটি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৈশোরকালের স্মৃতিবিজরিত প্রিয় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হলে সকলেই উচ্ছসিত হন। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে সমবেতরা।
মঞ্চে তার প্রিয় শিক্ষক জহুরুল ইসলাম উপস্থিত হলে আবেগ আপ্লুত হয়ে পরেন। এ সময় তিনি ৩ জন শিক্ষকের কথা স্বরণ করে বলেন, স্যাররা স্বল্প বেতনে মন থেকে পড়াতো বলেই আমি এই পর্যায়ে এসেছি। তবে লেখাপড়ার কোন বিকল্প নেই। কারণ আমার বাবা গ্রামে প্রথম গ্র্যাজুয়েট। তিনি ভালো ইংরেজি জানতেন। তিনি আমার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছেন। মতবিনিময় সভা শেষে তিনি পায়ে হেটে শৈশবের স্মৃতি বিজরিত স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তনিমা জামান তন্বী, মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু প্রমুখ।
তার প্রিয় বন্ধু মহি উদ্দিন জানান, সে এখানে আসতে পেরে খুব খুশি। সে ছোটোবেলার সব স্মৃতি ফুটিয়ে তুলেন। পুকুরে মাছ ধরা, নদীতে গোসল করা, খেলাধুলা, শৈশব কৈশোরের স্মৃতি রোমন্থন করেন। প্রিয় শিক্ষক ও বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। পরে ঘুরে ঘুরে ছোটবেলার স্মৃতি বিজরিত স্থান দেখে। সে ৩য় শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছে।