বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৮৮ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। নভেম্বর মাসের প্রবাসী আয় গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছরের নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এখনো রেমিট্যান্স আয়ের ধারাবাহিকতা রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা থাকার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। পাশাপাশি মুদ্রাবাজারে ডলারের ওপর চাপও কমছে। অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোকে উৎসাহিত করতে নানা প্রণোদনা প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ এসেছে ১৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। গত অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ডলার এবং জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারের আয় এসেছিল।
বরাবরের মতো গত মাসেও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। নভেম্বর মাসে এ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬০ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। তার পরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পেয়েছে ২৯ কোটি ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক পেয়েছে ২৪ কোটি ডলার, জনতা ব্যাংক ২২ কোটি ডলার, ব্র্যাক ব্যাংক পেয়েছে ১৭ কোটি ৯২ লাখ ডলার এবং ট্রাস্ট ব্যাংক পেয়েছে ১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি ভালো থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ৩১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে