দেশের বেসরকারি খাতের বিকাশকে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম (স্বজনতোষী পুঁজিবাদ) হিসেবে অভিহিত করেছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের বেসরকারি খাত ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের (স্বজনতোষী পুঁজিবাদ) মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে, যেখানে আপনার সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক থাকে। ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের জন্য আমি বেসরকারি খাতকে দোষ দেব না, আপনাদের দোষ দিতে চাই না। কারণ সিস্টেমই ছিল এমন।
বৃহস্পতিবার বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশিয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাতের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বিডা ভবনে এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরতে এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জ্বালানি উপদেষ্টা ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীরা মূলত পণ্য উৎপাদন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমেই সম্পদ গড়ে তোলেন। বেসরকারি খাতের জন্য আরো সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবে সরকার।
জমি অধিগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বড়লোক কারা? যারা ব্যাংকের ঋণ নিয়ে দেয় না। সম্পদশালী কারা? যারা গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল দেয় না। সড়ক নির্মাণে যে পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে তাতে, একসময় কবর দেওয়ার মতো জায়গাও পাওয়া যাবে না। কোনো ব্যক্তি ইচ্ছায় আর কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হবে না।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, বর্তমান নীতি কার্যকর হলে দুই-তিন বছরে বিদেশি বিনিয়োগ তিন থেকে চার গুণ বাড়ানো সম্ভব হবে। আর বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ যেন ঝুঁকিতে না পড়ে, সে ব্যাপারে এনবিআর সচেষ্ট থাকবে।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ১৬ বছর ধরে অনেক ব্যবসায়ী রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ব্যাক্তির দায়ের কারণে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। চলতি বছরের শেষে মূল্যস্ফীতি পাঁচ এর নিচে নেমে এলে নীতিসুদ হার কমানো হবে।