হোম > রাজধানী

রাজধানীতে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তদের গুলি, নিহত ১

স্টাফ রিপোর্টার

রাজধানীর পুরানো ঢাকায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত হয়েছেন তারিক সাঈদ মামুন নামে এক ব্যক্তি। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে হঠাৎ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। পথচারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে দেখা যায়, এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ফারুক হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তারিক সাঈদ মামুনকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের খালাতো ভাই হাফিজ জানান, মামুন একজন সাধারণ মানুষ। তিনি কোনো রাজনৈতিক বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ‘আমরা বুঝতে পারছি না, কারা এবং কেন তাকে হত্যা করল।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, এখনো শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না, খুনি কারা। তবে প্রাথমিক তথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলালের মধ্যকার দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি দৌড়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের গেইটের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এ সময় মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পরা দুই যুবক পেছন থেকে পিস্তল তাক করে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মামুন।

ঘটনার পর পরই সূত্রাপুর থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ শুরু করে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় দুই প্রভাবশালী চক্র— সানজিদুল ইসলাম ইমন ও পিচ্চি হেলাল গ্রুপের মধ্যে চলমান বিরোধের জেরে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে।

তবে তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত নাকি কোনো তাৎক্ষণিক বিরোধের ফল, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তারা রাজনৈতিক বা অন্য কোনো ইস্যু থেকেও হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

পুরান ঢাকার জনবহুল এলাকায় দিনের আলোয় এমন গুলির ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল জায়গার সামনে প্রকাশ্যে গুলিচালনা শহরের নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আশপাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে তারা আশাবাদী।

পুরানো ঢাকার মানুষ এখনো সেই ভয়াবহ সকালটির কথা ভুলতে পারছেন না— যেখানে হাসপাতালের সামনে, রোগী ও পথচারীতে ভরা এলাকায়, দিনে-দুপুরে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই নির্মম ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে রাজধানীর নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে।

রাজধানীর গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীতে দুই বাসে আগুন

মেট্রোরেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

১৫ নভেম্বর খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করুন: মধুপুরের পীর

সংশোধনী

নন-এমপিও শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ-সাউন্ড গ্রেনেড, আহত ৪

আধুনিক ডিজাইনের পুলিশ বক্স চালু হচ্ছে রাজধানীতে

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে রিয়েল এস্টেট খাতের অবদান নিয়ে সেমিনার

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার যৌক্তিক সময়ের দাবিতে বিক্ষোভ

মুক্তিযুদ্ধের পর গাছের পাতা খেয়েও থেকেছি: সুচন্দা