কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন। খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এই মহাসম্মেলনকে মহাসমুদ্রে পরিণত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর ও আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক। এ সময় মহাসম্মেলনের পূর্ব প্রস্তুতি, কার্যক্রম ও সার্বিক অবস্থা তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কাদিয়ানি মতবাদের সূচনালগ্ন থেকেই ওলামায়ে কেরাম ও মুসলিম উম্মাহ একে ইসলামের মৌলিক আকীদার পরিপন্থি ঘোষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক, জাতীয় বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ও আদালতও আনুষ্ঠানিকভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করেছে।
খতমে নবুওয়ত নেতারা বলেন, কুরআন হাদীসের শতাধিক অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে মুসলিম উম্মাহর সবাই এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করেছেন যে- হযরত মুহাম্মাদ (সা.) শেষ নবী ও রাসূল। তারপর যে কেউ নবুওয়তের দাবি করবে, সে মিথ্যুক ও প্রতারক।
কিন্তু দুঃখজনকবিষয় হলো এই সুস্পষ্ট অকাট্য আকীদার বিপরীতে আহমদিয়া বা কাদিয়ানী সম্প্রদায় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী বিশ্বাস করে এবং তার উদ্ভাবিত কুফরি মতবাদকে ইসলাম বলে প্রচার করছে, যা ইসলাম ও খতমে নবুওয়তের পরিপন্থি এবং সুস্পষ্ট ভ্রান্ত বিশ্বাস।
তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ দেশের নব্বই শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে- মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী মানা ইসলাম বিরোধী; তাই কাদিয়ানিরা মুসলমান হওয়ার প্রশ্নই আসে না, বরং তারা অমুসলিম কাফের । কিন্তু আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এর ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো-কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। তাদের ইসলামি পরিভাষা ব্যবহারে আইনগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সংবিধানে আকীদায়ে খতমে নবুয়তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রচারে বিভ্রান্তি রোধে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা রশীদ আহমাদ, মূফতি শুয়াইব ইব্রাহিম, মুফতি মোহাম্মদ আলী আফতাব নগর, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, মাওলানা নুর হোসাইন নুরানী,মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি আরিফ বিল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি শফিক সাদী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমুখ।