ঈশ্বরদীতে জামায়াতের প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারে হামলার ঘটনায় ফেয়ার ইলেকশন অ্যাডভাইজরি কমিটি একটি বিবৃতি দিয়েছে। শুক্রবার সংগঠনটি এ বিবৃতি দেয়।
বিবৃতি হুবহু তুলে ধরা হলো
“গতকাল ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে পাবনার সাঁথিয়ায় একটি দলের নির্বাচনী প্রচারনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ওই ঘটনা পাবনা-৪ (সাঁথিয়া-আটঘরিয়া) আসনের জামায়াতের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মণ্ডল উপজেলার চরগড়গরি গ্রামে গণসংযোগে গেলে প্রতিপক্ষের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হন। এবং গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন
বাংলাদেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সংঘটিত এ ঘটনা আমাদেরকে দারুণভাবে বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন করেছে। বিশেষ করে এ ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আমাদের নির্বাচনী পরিবেশের জন্য এক অশনি সংকেত বটে।
তাই আমরা সরকারকে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নকারী এ ধরণের ঘটনায় পুনরাবৃত্তি রোধপ্রকল্পে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সুনির্দিষ্ট অনুরোধ জানাচ্ছি।
“একই সাথে নির্বাচনকালীন তফসিল ঘোষণার পূর্বেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর সমগ্রদেশব্যাপী বিশেষ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা ও ভোট গ্রহণের পূর্ব মুহূর্ত তা জারি রাখার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
গত ২৭ নভেম্বরের পাবনার ঘটনা আমাদেরকে চোখে অঙ্কুর দিয়ে দিচ্ছে যে, ৫ আগস্ট ২০১৪ এর পর কোনো কার্যকরী অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাস দমন না হওয়ায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াতে। তাই আমরা অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চিহ্নিত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালার আহ্বান জানাচ্ছি।
একটি স্থিতিশীল, ইনসাফপূর্ণ এবং সুশাসনের বাংলাদেশ গড়ার নিমিত্তে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল দল সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ও সংযমী ভূমিকা পালনের জন্য আমরা একান্ত অনুরোধ জানাচ্ছি।
“সবশেষে নির্বাচনী প্রচার ও জনসংযোগকালীন সকল প্রকার অপপ্রচার, অসংলগ্ন আচারণ সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ দলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে ভোটাররা দিন শেষে ভোট কেন্দ্রে নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারে এবং একটি নতুন উদার উদ্ভব-প্রত্যাশাময় পরিপূর্ণতা দেখতে পারে।