দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিস সামলা অগ্নিসংযোগ এবং সাংবাদিক নুরুল কবিরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সরকার যদি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার বিচার না করে, তাদের গায়ে কলঙ্কের তিলক থাকবে।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেছি। অসহায় সাংবাদিকরা প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করছে। ডেইলি স্টারের ছাদের উপরে আশ্রয় নিয়েছে একজন বোন। তার সেই দিনের কাকুতি মিনতি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
আমার দেশ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার-এর মতো পরিচিত পত্রিকার অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দেশ-বিদেশে কারা লাভবান হবে? তারাই এই কাজ করেছে। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।
এর আগে আমার দেশ ও নয়াদিগন্ত অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংগ্রাম অফিসে হামলা করে মব দিয়ে পত্রিকার প্রথিতযশা সম্পাদককে নির্যাতন করে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমার দেশ সম্পাদককে জেলে নেওয়া হয়েছে, কুষ্টিয়ায় হামলা করা হলে বাধ্য হয়ে তিনি নির্বাসনে যেতে হয়েছে। তখন এগুলোর বিচার হলে এখন আর অগ্নিসংযোগ বা হামলার ঘটনা ঘটত না।
বিপিকে সভাপতি এ কে মহসিন বলেন গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আন্দোলনে গণমাধ্যমে ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ফ্যাসিস্ট আন্দোলনে গণমাধ্যম কর্মীরা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। সেই গণমধ্যম এর উপর হামলা এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এছাড়াও মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক, বুলবুল আহমেদ আনিসুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. সৌরভসহ বিপিজেএ অন্যান্য সদস্যরা।