বৈষম্য দূর করে ৪৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা যৌক্তিক সময়ের দাবিতে ও পুলিশ কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্টেশন বাজারে ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় অ্যাডমিট কার্ড পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় “এক-দুই-তিন-চার পিএসসি সৈরাচার”, “সবাই পায় ৬ মাস, আমরা কেনো ২ মাস?”, “সময় চাই, সময় চাই, যৌক্তিক সময় চাই”, “আমার ভাই অনশনে পিসএসসি কি করে?”, “আমার ভাই অনশনে, মাহফুজ কি করে?”, “অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন”, “অ্যাকশন অ্যাকশন ছাত্রসমাজের অ্যাকশন”, “সৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন”, আবু সাইদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই” এমন সব স্লোগান দেন।
এসময় ফলিত রসায়ন ও রয়াসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, পিএসসি আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে। সবাই পায় ৬ মাস, আমরা কেন ২ মাস পাবো? আমাদের সাথে এ বৈষম্য কেন করা হচ্ছে? আমরা আজ যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। ঢাকায় আমার ভাইদের উপর স্বৈরাচারী কায়দায় হামলা করা হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের দাবি আমাদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে যৌক্তিক সময়ে নিতে হবে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি আদায় হবে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আনিকা বলেন, ছাত্রদল, শিবির, এনসিপি সবাই স্বীকার করেছে এটা যৌক্তিক আন্দোলন। তাহলে কেন আমরা এর কোনো সমাধান পাচ্ছিনা। আমরা কেন বৈষম্যর শিকার হবো। দুই মাসে তো সিলেবাসই শেষ করা সম্ভব না, সেখানে দুই মাসে কিভাবে আমরা পরীক্ষায় বসবো। শহীদ মিনারের সামনে আমাদের ভাইয়েরা অনশনে বসেছে। তারপরও আমরা কোনো সমাধান পাচ্ছিনা। আমরা চাই পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে যৌক্তিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হোক।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের ফলে রাজশাহী থেকে ঢাকা অভিমুখী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে আটকে আছে। তাদের অবরোধ শেষ হলে হয়তো ট্রেনটি ছাড়া সম্ভব হবে।