ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত ১০২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনকে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে নিয়োগ-গেজেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মেধা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরীক্ষা উত্তীর্ণ হলেও তাদের চাকরির অধিকার সীমিত করা সংবিধান ও সুশাসনের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
ডাকসু, রাকসু, চাকসু ও জাকসু এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছে, বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
তারা বলেছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত না হয়ে থাকে, তবে তাকে গেজেটভুক্ত করা উচিত।
মঙ্গলবার পাঠানো এ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেএস, বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরিতে নিয়োগের একমাত্র মানদণ্ড হবে মেধা ও যোগ্যতা। “জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়েও পারিবারিক বা বংশীয় রাজনৈতিক পরিচয়কে ভিক্তি করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন কেড়ে নেওয়া সংবিধান ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক,” উল্লেখ করেছে ছাত্র সংসদগুলো।
ডাকসু ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ- আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করতে হবে এবং যদি ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ না থাকে, তবে কোনো শিক্ষার্থীকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি করা যাবে না। বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিজেদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে হবে এবং অভিযোগের যথাযথ জবাব প্রদানের পরই গেজেটভুক্ত করা উচিত।
ছাত্র সংসদগুলো বলেছে, শিক্ষার্থীরা নিরলস প্রচেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম ও যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে তাদের আহ্বান, একটি মেধা-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধা ও যোগ্যতাকেই একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।