তেজগাঁও কলেজ
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদক সেবন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়ে আইসিউতে ৪ দিন লড়ে মারা গেলেন উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র সাকিবুল হাসান রানা।
বুধবার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শামিমা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, সাকিব আমাদের মাঝে আর নেই। সাকিবের এক আত্মীয় আমাদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমার এই মুহুর্তে আসলে কথা বলার মত ভাষা নেই।
এর আগে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদক সেবন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
আহত তিনজন হলেন সাকিবুল হাসান রানা (বিজ্ঞান বিভাগ, সেশন ২০২৪–২৫), হৃদয় আহমেদ (মানবিক বিভাগ, সেশন ২০২৪–২৫) এবং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাত (মানবিক বিভাগ, সেশন ২০২৫–২৬)।
অভিযোগ রয়েছে, জান্নাত ছাত্রদলের প্রভাবশালী একটি গ্রুপের সহায়তায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে অবস্থান করতেন।
হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তরুণ–সেলিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য মোমেন পালোয়ান আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বর্তমানে তিনি তরুণ গ্রুপের প্রভাব ব্যবহার করে ক্যাম্পাস ও হলে আধিপত্য বিস্তার করছেন এবং তাকে মাদক সেবন ও বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করে আরও বলেন, আমরা কেউ এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে করা হয় টর্চার।
এতে ভয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেউই ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কথা বলে না। ভর্তি বাণিজ্য থেকে শুরু করে ফর্ম পূরণের বাণিজ্যেও ছাত্রদল এগিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।