ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, বাঙালি সংস্কৃতির নামে দীর্ঘদিন আমাদের ওপর কলকাতার সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আমাদের আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মানের সংস্কৃতি চর্চা করতে চাই। আমরা নিজেদের স্বকীয়তা ও সক্ষমতা বুঝতে শিখেছি। কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলব তার সিদ্ধান্ত আমরা নিজস্ব অবস্থান থেকেই নেব।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাকৃবি শাখার উদ্যোগে নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এক হাজারের বেশি নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে। এ প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিকস চলবে না। এখন আর জোর করে মিছিলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও সাহস কেউ পাবে না, ৫ আগস্টে এর কবর রচনা হয়ে গেছে।
নারী ও অমুসলিমদের বিষয়ে প্রচলিত সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারীদের বিষয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালায়। এ রাজনৈতিক অপপ্রচারের কোনো ভিত্তি নেই। অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের উদারনীতির সঙ্গেই শিবির একমত এবং সেই মূল্যবোধই ধারণ করে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, শিবির ইতোমধ্যে ৩০ দফা শিক্ষা প্রস্তাবনা দিয়েছে। সরকার তা বাস্তবায়ন করলে শিক্ষা, গবেষণা ও কারিগরি খাতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক অগ্রগতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।
এছাড়া শিবিরের কেন্দ্রীয় ও শাখার সদস্যসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোকপাত করেন।