কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে, যার ফলে এসব আইএসপি ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। তাই ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি (BTRC) যৌথভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এই সাইবার অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
শুক্রবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক আইএসপি (ISP) প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার ব্যাপার আমাদের নজরে এসেছে। কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে, যার ফলে এসব আইএসপি ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এ আক্রমণগুলোর লোড কিছু ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ৭০০ গিগা পর্যন্ত হয়, যা ছোট নেটওয়ার্কের পক্ষে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব। ফলে ছোট আইএসপি-রা তাদের গ্রাহক হারাচ্ছে, এবং বড় কোম্পানিগুলো অন্যায্যভাবে বাজার দখল করছে।
তিনি আরও লেখেন, এ বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ: মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি (BTRC) যৌথভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ সাইবার অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। খুব দ্রুতই এ খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাবে বলে আমরা আশাবাদী। একই সঙ্গে, যে কোনো বড় আইএসপি সিন্ডিকেট বা বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা রোধে মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও লেখেন, ছোট ও আঞ্চলিক আইএসপি-দের জন্য সুসংবাদ: নতুন টেলিকম লাইসেন্স নীতিমালায় ছোট আইএসপি-রা এখন নিজেদের অপারেটিং এলাকা ছাড়াও পুরো জেলায় কার্যক্রম চালাতে পারবে। আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি যাতে জেলা পর্যায়ের লাইসেন্স ফি আরও যুক্তিসংগত করা যায় (দরকারে কিছুটা কমিয়ে)—যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তারা টিকে থাকতে পারেন। আমরা আইএসপি-কে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) হিসেবে বিবেচনা করি, তাই তাদের স্বার্থ রক্ষা করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফয়েজ আরও বলেন, বাজার থেকে ছোট আইএসপিদের বের করে দেওয়ার যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে। ডিডস আক্রমণকারীদের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায্য প্রতিযোগিতামূলক ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম নিশ্চিত করা হবে।