পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশগত সংকট জাতীয় সীমানায় থেমে থাকে না; তাই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আস্থা, সহযোগিতা এবং ধারাবাহিক সংলাপের ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, সীমান্তবর্তী বায়ুদূষণ, নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যা এবং সুন্দরবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশ ব্যবস্থার সুরক্ষা— এসব অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাকেপ (SACEP)-এর মতো শক্তিশালী আঞ্চলিক মঞ্চ অত্যন্ত প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে দক্ষিণ এশীয় পরিবেশ কর্মসূচির (SACEP) মহাপরিচালক নরবু ওয়াংচুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সীমান্তবর্তী বায়ুদূষণ, নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্লাস্টিক বর্জ্য এবং সুন্দরবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশ ব্যবস্থা রক্ষায় যৌথ উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক পরিবর্তন যাই হোক, পরিবেশকে নীতি-অগ্রাধিকারের কেন্দ্রে রাখতে হবে, যোগ করেন তিনি।
সাক্ষাতে SACEP মহাপরিচালক ওয়াংচুক সদস্য দেশগুলোতে চলমান জলবায়ু অভিযোজন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বায়ুগুণমান উন্নয়ন ও সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের পরিবেশ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, যৌথ প্রকল্প ও বহু-দাতা তহবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ–SACEP সহযোগিতায় জলবায়ু অভিযোজন, বায়ুগুণমান ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নতুন যৌথ কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তাব করেন। ওয়াংচুকও বাংলাদেশকে SACEP-এর বিভিন্ন কর্মশালা ও আঞ্চলিক বায়ুগুণমান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে SACEP-এর প্রশাসনিক কাঠামো, আসন্ন গভর্নিং কাউন্সিলের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশের জন্য প্রযুক্তিগত ও প্রোগ্রামভিত্তিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়।
আলোচনা শেষে উভয় পক্ষ বাংলাদেশের জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন সহযোগিতা সম্ভাবনা অনুসন্ধান এবং সমন্বয় জোরদারে সম্মত হয়।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহানা আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।