হোম > জাতীয়

খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে ঢাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ বুধবার দুপুর তিনটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম মাথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় আসেন।

খালেদা জিয়ার জানাজায় রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন বয়সি লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ছিলেন। তারা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও এর আসপাশের এলাকা জুড়ে থাকা মাঠ, সড়ক ও মহাসড়কে দাঁড়িয়ে জানাযার নামাজ আদায় করেন।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, তিন বাহিনীর প্রধান ও সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা জানাজায় অংশ নেন।

এছাড়া সারাদেশ থেকে বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, কৃষক দল, ওলামা দল ও স্বেচ্ছাসেবকদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। যাদের অনেকেই পুরো বাস ভাড়া করে, কেউ কেউ দলবদ্ধ হয়ে, আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঢাকায় এসেছেন।

সিলেট থেকে খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় আসেন অনেক অনেক মানুষ। যাদের মধ্যে ছিলেন ব্যবসায়ী লোকমান আহমেদ। তিনি খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য রাতেই ঢাকায় আসার কথা জানান। তিনি বলেন, আসতে কিছুটা কষ্ট হয়েছে আমার। রাত জেগে আসলাম। আবার সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে আছি। তবে বেগম জিয়ার মতো একজন মানুষের জানাজায় অংশগ্রহণ করাটা আমার জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হয়তো আমরা সেটা পারতাম না। আমাদের শিক্ষার্থী ভাইদের ধন্যবাদ। তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার কারণেই আজ আমরা এই পরিবেশ পেয়েছি। নতুবা বেগম জিয়াকে এখানে শহীদ জিয়ার পাশে কবর দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত কি-না সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে।

গাজীপুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেন। এ সময় জানাজায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা তার মাগফিরাত কামনা করেন। তাদের মাঝে মো. সাইফুল ইসলাম এসেছেন সন্তানকে নিয়ে। তিনি বলেন, আমার সন্তানকে এই ঐতিহাসিক বিদায়ের সাক্ষী করতে এনেছি। প্রকৃত দেশপ্রেমিক এই মানুষের মতোই যেন মনোবল ও দেশপ্রেমিক হয়, সেটা চাই। সেই সাথে বেগম জিয়ার নাজাতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

জানাজায় অংশ নিতে আসা নোয়াখালী জেলার চাটখিলের মো. ফরহাদ হোসেন আমার দেশকে বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক খালেদা জিয়ার বিদায় হলো । এটি আমাদের গোটা জাতির জন্য শোকের বিষয় । আমরা জানাজায় এসেছি শুধু শেষ বিদায় জানাতে নয়, বরং এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবি জানাতে। আমরা মনে করি স্লো পয়েজনিংয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। যেটা আমাদের নেতাকর্মীরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে বন্ধুদের সাথে এসেছেন তরুণ সোহেল রানা। তিনি জানাযাস্থল সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজায় দাঁড়িয়ে বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলছিলেন, যেখান থেকে জিয়াউর রহমানের কবরটাও সরাতে চেয়েছিল হাসিনা -সেখানেই বেগম জিয়া শায়িত হচ্ছেন। এটি আমাদের তরুণদের জন্য অনেক বড় অর্জন। বেগম জিয়ার আপসহীন ভূমিকা আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের রুখে দাড়ানোর ফলেই শেখ হাসিনার পতন সম্ভব হয়েছে।

চট্টগ্রামে তিন থানার ওসি রদবদল

খালেদা জিয়ার জানাজার ময়দানে হাসিনার বিচারের দাবি জনতার

বেগম খালেদা জিয়ার কফিন বহন করলেন যে তিন আলেম

ধূমপানে জরিমানা: পাবলিক প্লেস বলতে যেসব স্থান বোঝাবে

২০২৫ সালে ৩৪ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ

ধূমপায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ, প্রকাশ্যে ধূমপানে বড় জরিমানা

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের স্পিকারের সাক্ষাৎ

বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে আসিফ নজরুল ও খলিলুর রহমানের সাক্ষাৎ

৭০ হাজার টন সার ও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার