জানাজার নির্ধারিত সময়ের বহু আগেই জনতার স্রোত নামে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। খুলে দেওয়া হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্রবেশমুখ। অনেকে হাদির দেশপ্রেমে একাত্মতা প্রকাশ করতে কিনেছেন জাতায় পতাকা। ছোট ছোট বাচ্চারা আসেন বাবার সঙ্গে, আসেন নারীরাও। তরুণদের পাশাপাশি বয়স্ক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বড় অংশই ছিল তরুণ। যাদের বেশিরভাগই মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে আসেন।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ২টায় জানাজা হলেও সকাল ৯টার পর থেকে মানুষের ভিড় থাকতে। জানাজায় অংশ নিতে দলে দলে বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে মানুষ আসেন। ঢাকার পাশাপাশি আশপাশের জেলাগুলো থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এসময়- ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি', ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘হাদির খুনিদের ঠাঁই, এই বাংলায় হবে না’, ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
উত্তরা থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মমিনুর ইসলাম হৃদয় আমার দেশকে বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের পর থেকেই ওসমান হাদিকে চিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। সবসময়ই ন্যায়ের কথা বলেছেন। তার মতো দেশপ্রেম অনেক রাজনীতিবিদদের মধ্যেও নেই। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।’
খিলগাঁও থেকে আসা মোতাকাব্বির হোসেন বলেন, ‘ওনার বলা প্রতিটি কথা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। অনেক কাছ থেকে তাকে দেখেছি।’