গত বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের লড়াকু তরুণ ছাত্র-জনতার মহান বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনার দিল্লিতে পলায়নকালে আমি তুরস্কে নির্বাসনে ছিলাম। সে সময় আমার সর্বশেষ বইটির (The Rise and Challenges of Indian Hegemon in South Asia, Ananya Publisher) কিছু কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় দেশে ফিরতে খানিকটা বিলম্ব হচ্ছিল।
তারপর আমার মা ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বলতে গেলে এক দিনের নোটিসে ছয় বছর পর ঢাকায় ফিরে আসি। প্রত্যাবর্তনের পর পাঁচ দিনের সংক্ষিপ্ত জেলবাস শেষে মুক্ত জীবনে ফিরে আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল আমার দেশ আবার প্রকাশ করা। মহান আল্লাহ তায়ালার অপার রহমতে দেশে ফেরার তিন মাসের মধ্যে গত বছরই ২২ ডিসেম্বর প্রায় এক যুগ পর আবার আমার দেশ পাঠকদের হাতে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। আমার দেশ পরিবারের এক অসাধারণ পরিতৃপ্তির দিন ছিল সেটি। পুনঃপ্রকাশিত আমার দেশ-এর বয়স ছয় মাস পার হয়েছে।
এর মধ্যে আমরা প্রশংসা ও তিরস্কার উভয় অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। জীবনসায়াহ্নের শেষ ইনিংসে পুরোটা সময় পরম আনন্দে পত্রিকা নিয়েই কাটাচ্ছি। প্রতিদিনের পত্রিকা তৈরিতে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি আমার দেশ ইউটিউব ও ফেসবুকে পাঠকদের মন্তব্য পড়তেও আমি অনেকটা সময় ব্যয় করি। জনমতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। নীতির প্রশ্নে কখনো কখনো স্রোতের বিপরীতে দাঁড়াতে হলেও আমাদের প্রচেষ্টা নিয়ে শত্রু-মিত্র কী ভাবছে, সেটা জানতে ভালো লাগে। নতুন যাত্রায় আমার দেশ হাতে পেয়ে কারা আনন্দিত হয়েছেন আর কারাই বা নাখোশ হয়েছেন, তার একটা মোটামুটি ধারণা এই ছয় মাসে আমরা পেয়ে গেছি। তাই আজ ভাবলাম, প্রতি সপ্তাহের বিশ্ব রাজনীতিবিষয়ক ও তাত্ত্বিক লেখার পরিবর্তে খানিকটা স্বাদ বদল করে পাঠকদের নতুন বাংলাদেশে আমাদের অভিজ্ঞতার কথা জানাই।
আমার দেশ-এর ঘোর নিন্দুকরাও সম্ভবত স্বীকার করবেন, মাত্র ছয় মাসের নবযাত্রায় পত্রিকাটি মিডিয়া জগতে ভালোভাবেই ঝড় তুলেছে। যারা ভেবেছিলেন, আমার দেশ প্রকাশ করা আর সম্ভব হবে না, কিংবা পত্রিকা বের হলেও কেউ পড়বে না, তাদের বাড়া ভাতে ছাই পড়েছে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, একটি সংবাদপত্র একবার বন্ধ হলে সেটির পুরোনো স্থান ফিরে পাওয়া অনেকটাই দুঃসাধ্য। আর আমাদের তো একাধিকবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের বাধাবিঘ্ন বিবেচনায় নিলে পাঠকপ্রিয়তার বিচারে আমার দেশ মিডিয়ায় এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছে বলা যেতে পারে। তবে নিন্দুকের সংখ্যাও কিন্তু ছোট নয়। আমি নিন্দামন্দের এই বিষয়টিকেও বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখি। আমার দেশ চালু হওয়ায় সমাজের একটি বিপুল অংশ এই যে এতখানি নাখোশ হয়েছে, সেই বিষয়টি সমাজে পত্রিকাটির অব্যাহত প্রভাব প্রমাণ করে। এটাই আমাদের সাফল্য। এবার নাখোশ শ্রেণির একটা তালিকা বানানো যাক—
এক নম্বর : আমার দেশ প্রকাশ নিয়ে আমার উৎসাহ দেখে আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা নিশ্চয়ই ধরে নিয়েছে—হয় আমার লাজলজ্জা নেই, অথবা আমি একজন উন্মাদ; না হলে এত হেনস্তার পর আবার কি কেউ মিডিয়ায় ফিরে আসে? কিন্তু ওরা জানে না, এক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই আমি ভিন্ন পেশা থেকে ১৮ বছর আগে মিডিয়ায় এসেছিলাম। আমার একাধিক লেখায় উল্লেখ করেছি, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ভারতীয় স্বার্থের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল প্রধানত সাংস্কৃতিক জগৎ ও মিডিয়ার মাধ্যমে।
একটি রাষ্ট্র সচরাচর রাজনৈতিক আগ্রাসনের আগে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হয়। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দেশের স্বার্থবিরোধী যে পঞ্চম বাহিনী তৈরি করেছিল, ২০০৮ সালের পথচলা থেকে আমার দেশ তাদেরই সাধ্যমতো প্রতিহত করতে চেয়েছে। যেহেতু সেই সাংস্কৃতিক লড়াই জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশেও চলমান, তাই আমার দেশ এখনো সমভাবে প্রাসঙ্গিক এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষার এক শক্তিশালী হাতিয়ার। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ফ্যাসিবাদের দালাল গোষ্ঠী আমার দেশ-এর জাতীয়তাবাদী ও ইসলামিক বয়ানকে প্রচণ্ডভাবে ভয় পায়। আমাদের ছয় মাসের অপ্রত্যাশিত সাফল্যে তারা স্বাভাবিকভাবেই যারপরনাই হতাশ ও ক্রুদ্ধ হয়েছে।
দুই নম্বর : নাখোশ হওয়ার তালিকায় দুই নম্বরে যে ভারত থাকবে, সেটা বলাই বাহুল্য। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অন্য কোনো জাতীয় দৈনিক পত্রিকা আমার দেশ-এর মতো করে সরাসরি ভারতীয় হেজেমনিকে কখনো চ্যালেঞ্জ করেনি। ভারত আমার দেশ নিয়ে কতটা চিন্তিত, সেটি আমাদের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল সে দেশে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ প্রসঙ্গেই নয়, আমার দেশ-এ প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় হেজেমনির বিপদ সম্পর্কে পাঠকদের সতর্ক করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নির্বাসিত জীবনে অলিউল্লাহ নোমানকে নিয়ে লন্ডন থেকে প্রায় দুই বছর আমার দেশ অনলাইন চালানোর সময় বহুবার আমাদের সাইট হ্যাক করা হয়েছে, ভুয়া কপিরাইট দাবি করে হোস্ট কোম্পানিকে দিয়ে সাইট বন্ধ করানোর চেষ্টা হয়েছে; কিন্তু আমরা হার মানিনি। এখনো আমরা জানি, আমার দেশ-এর কণ্ঠরোধ করার ভারতীয় প্রচেষ্টা এ দেশের সব সরকারের আমলেই অব্যাহত থাকবে। আমরাও ইনশাআল্লাহ প্রস্তুত থাকব।
তিন নম্বর : ফ্যাসিবাদের সহযোগী দুর্নীতিবাজ অলিগার্করাও আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশে বেজায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাদের মনে সারাক্ষণ ভয় কাজ করছে—এই বুঝি অলিগার্কদের দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কাহিনি আমাদের কাগজে প্রকাশ পায়। কারণ কোনো করপোরেট স্বার্থের কাছে আমার দেশ দায়বদ্ধ নয়। আমাদের পত্রিকার পাঠকরা ইতোমধ্যে জেনেছেন, সেইসব প্রতাপশালী অলিগার্কদের একজন, একাত্তর টেলিভিশনের মালিক মেঘনা গ্রুপ আমার দেশ পত্রিকা ও আমার বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের মানহানি মামলা করে পরে সেটি আবার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বিগত ছয় মাসে এদের দুর্নীতি-সংক্রান্ত বহু সংবাদ আমরা প্রকাশ করেছি। দুর্নীতি নিয়ে কোনো আপস আমার দেশ করবে না।
চার নম্বর : শাহবাগি মিডিয়া ও সুশীল সমাজ যে আমার দেশ প্রকাশিত হওয়ায় বেজায় নাখোশ হয়েছে, সেই তথ্য বুদ্ধিমান পাঠককে জানানোর তেমন প্রয়োজন পড়ে না। শাহবাগ বনাম শাপলার বয়ানের লড়াই ২০১৩ সাল থেকেই চলমান রয়েছে। আমার ধারণা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ৫৪ বছরে আজ পর্যন্ত পত্রিকার সবচেয়ে আলোচিত শিরোনাম ‘শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি’। মহান জুলাই বিপ্লব প্রমাণ করেছে, আদর্শিকভাবে শাপলার কাছে শাহবাগ পরাজিত হয়েছে। সেই শাহবাগি সুশীলদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন ভোল পাল্টে খানিকটা আশ্চর্যজনকভাবে বিএনপির পক্ষপুটে আশ্রয় নিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে তারা আমার দেশ-এর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার একুশে পদকপ্রাপ্তি নিয়ে এদের মর্মবেদনা প্রায় আর্তনাদে রূপ নিয়েছিল।
পাঁচ নম্বর : নাখোশদের তালিকায় খানিকটা আশ্চর্যজনক নবতম সংযোজন হচ্ছে বর্তমান বিএনপির একটি প্রভাবশালী অংশ। জুলাই বিপ্লবের মহান শহীদ ওয়াসিমের ছবি ছাপানোর ইস্যুকে ব্যবহার করে বিএনপির উপরোক্ত অংশটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আমার দেশ পত্রিকা পুনঃপ্রকাশের প্রথম দিন থেকেই বয়কটের ডাক দিয়ে রেখেছে। আমার দেশ-এর ফিরে আসায় আওয়ামীদের পরিবর্তে বিএনপির এই অংশের প্রকাশ্য গাত্রদাহ আসলেই বিস্ময়কর। তদুপরি ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং ইসলাম প্রশ্নে আমাদের সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দলটির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থানের দৃশ্যমান দূরত্ব তৈরি হয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদের সাম্প্রতিক অযৌক্তিক আন্দোলন চলাকালে আমার দেশ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করায় বিএনপি সম্ভবত আরো ক্ষিপ্ত হয়েছে। মেয়র পদের দাবিদার ইশরাক হোসেন ভয়ংকর রাগান্বিত হয়ে তার ফেসবুকে আমাদের পত্রিকাকে ‘ফালতু’, ‘ঠোংগা বানানোর কাগজ’ প্রভৃতি বলে গালমন্দ করেছেন। পোস্টে তিনি প্রকারান্তরে এটাও বলার চেষ্টা করেছেন, আমার দেশ আবার প্রকাশিত না হওয়াটাই ভালো ছিল। ইশরাকের পোস্ট পড়ে আমার অনেক আগে শোনা এক কৌতুকের কথা মনে হলো।
দুই পড়শির মধ্যে বেজায় মন কষাকষি। এক পড়শির ছেলে বুয়েটে ভর্তি হয়েছে শুনে অন্য পড়শির মনমেজাজ খারাপ। তো সেই ঝগড়াটে মহিলা অভিশাপ দিচ্ছেন। তিনি বললেন, ‘ওই ছেলে পাস করতে পারবে না। ভাগ্যক্রমে পাস করলেও কোথাও চাকরি পাবে না। আর যদি কেউ ভুল করে তাকে চাকরি দেয়ও, তো কিছুতেই বেতন পাবে না। বেতন পেলেও কোনো লাভ নেই, কারণ যে টাকা বেতন দেবে, সেই টাকা অচল, বাজারে চলবে না’। কৌতুক বাদ দিয়ে আবার গম্ভীর আলাপে ফিরছি।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলাকালে ভারতীয় দালাল রাজনৈতিক ও সুশীল গোষ্ঠী আমার দেশকে বিএনপিপন্থি পত্রিকার ট্যাগ দিয়ে আমার দেশ পরিবারসহ ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রতি সব জুলুমের পক্ষে বৈধতা উৎপাদনের চেষ্টা করত। সে সময় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অবশ্য বিভিন্ন জনসভায় বক্তৃতাকালে আমার দেশ দুহাতে উঁচু করে তুলে ধরে আওয়ামী সরকারের নানা ধরনের অপকীর্তির প্রমাণ দিতেন। এখন দিন পাল্টেছে। বিএনপির আমার দেশবিরোধী নীতিনির্ধারক অংশ আমাদের পত্রিকাকে এখন ইসলামিস্ট এবং জামায়াত-সমর্থক ট্যাগ দিয়ে ভবিষ্যৎ নিপীড়নের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জেনেছি, ঘরোয়া আলাপচারিতায় দলটির বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা ও পারিষদবর্গ বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমার দেশকে দেখে নেওয়া হবে—এ ধরনের হুমকিও দিচ্ছেন। ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত, একসময়কার ভারতবিরোধী ও ইসলামপন্থি ট্যাগ-সংবলিত দল বিএনপির নতুন মিত্র রূপে মিডিয়ায় সুপরিচিত ভারতপন্থিরা জুলাই বিপ্লবের পর আবির্ভূত হয়েছে। আমরা এতে মোটেও অবাক হইনি। সব সময় সুবিধাবাদীরা এভাবেই ভোল পাল্টে থাকে।
আমার দেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভারতপন্থি অংশ এবং ফ্যাসিবাদের সমর্থকদের মধ্যে নতুন মিত্রতা স্থাপন হওয়ায় বেশ কৌতুকবোধ করছি। ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’র মতো ব্যাপার আর কি! মিডিয়ায় পদার্পণ করে কখনো কোনো দল বা ব্যক্তির লেজুড়বৃত্তি করিনি। আমার দেশ-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে পত্রিকাটির মাস্ট হেড পরিবর্তন করেছিলাম। সেখানে ‘সবার কথা বলে’র পরিবর্তে ‘স্বাধীনতার কথা বলে’ লিখেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছিল, কোনো বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীনতার পক্ষের পত্রিকা নৈতিকভাবে সৎ-অসৎ, দেশপ্রেমিক-দেশদ্রোহী নির্বিশেষে সবার কথা বলতে পারে না।
১৮ বছর ধরে আমার সব বক্তব্য ও লেখালেখিতে দেশ এবং জনগণের কথা বলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, কোনো চাপের কাছে মাথা নত করিনি। ‘সততায় পারবেন না প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামে মন্তব্য প্রতিবেদন লিখে প্রবল ক্ষমতাধর শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম। ‘স্বাধীন বিচারের নামে তামাশা’ লিখে আদালত অবমাননা মামলায় জেলে গিয়েছিলাম। আপিল বিভাগে ক্ষমা না চেয়ে আমার অবস্থানে অনড় ছিলাম। কারো ভালো লাগুক কিংবা নাই লাগুক, আমার সেই আদর্শিক স্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরিনি। বিনিময়ে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আমার দেশ-এর প্রতি ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন। আমার দেশ কোনো তথাকথিত এলিট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে না। পত্রিকাটিকে প্রকৃত গণমানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত করতেই আমার দেশ পরিবার অবিরাম কাজ করে চলেছে। পাঠকরা আমাদের লড়াইয়ের পুরস্কার দুহাত ভরে অকৃপণভাবে দিয়েছেন। তাদের কাছে আমার ঋণ অপরিশোধ্য। আমার দেশ পরিবার সব ধরনের ক্ষমতাসীনদের আমলে বস্তুনিষ্ঠ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার আদর্শ সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।