হোম > মতামত

ভারত কেন শেখ হাসিনাকে রাখতে চায়?

ড. মোহাম্মাদ খালেদ হোসেন

২০২৪-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ একটি নতুন গণতান্ত্রিক পথচলার সূচনা করেছে। এই পরিবর্তন শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকেই বদলে দেয়নি, এটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গতিপথকেও নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছর পার হয়ে গেলেও ভারতের নীতিনির্ধারক পর্যায় ও মিডিয়ায় দেখা গেছে তারা এখনো পুরোনো বিদেশনীতি অনুসরণ করছে, যা ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, অর্থাৎ আওয়ামী লীগের দৃষ্টি দিয়েই বাংলাদেশকে দেখছে, যা বাংলাদেশের জনগণের রায়, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাসিনার ফাঁসির রায়ের পর বড় প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের অনুরোধের পরও কি ভারত হাসিনাকে ফেরত দেবে? যদি না দেয় তাহলে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আমরা এই প্রশ্নটি করতে পারি, ভারত কেন হাসিনাকে ধরে রাখতে চায়? কেন এখনো হাসিনাকে ‘তার সেরা অপশন’ মনে করে? এই ধারণা কতটা ভুল এবং বিপজ্জনক, একইসঙ্গে ভারত যদি তার আগ্রাসী নীতি অব্যাহত রাখে, তার ফল কী এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় কী হওয়া উচিত, তা নিয়েই এই লেখা।

ভারত কেন শেখ হাসিনাকে রাখতে চায়?

প্রথমত, দিল্লির দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা ছিলেন একটি নির্ভরযোগ্য ও পরীক্ষিত রাজনৈতিক সম্পদ, যিনি বাংলাদেশের স্বার্থের তুলনায় ভারতের কৌশলগত অগ্রাধিকারকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। নিরাপত্তা সহযোগিতায় একতরফা ছাড়, নদী-বন্দর-ট্রানজিট-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোয় ভারতকেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অসম ভারসাম্য মেনে নেওয়ার রাজনীতি। এসবের মাধ্যমে তিনি দিল্লির কাছে একজন ‘সহযোগী/অনুগত শাসক’ হিসেবে প্রতিভাত হয়েছেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কাঠামো বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণে যে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছে, তাতে একনায়ক শেখ হাসিনার শাসন ছিল একটি কার্যকর মাধ্যম। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের চোখে তিনি ছিলেন একধরনের সিকিউরিটি সাবকন্ট্রাকটর, যার মাধ্যমে তারা উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ, বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং বঙ্গোপসাগরভিত্তিক আঞ্চলিক কৌশল বাস্তবায়নে ব্যাপক সুবিধা পেয়েছে। ফলে তার পতন ভারতের জন্য শুধুই একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, বরং একটি বিরাট কৌশলগত শূন্যতা, যা পূরণ করার মতো আস্থাভাজন বিকল্প এখনো তারা তৈরি করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ত, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার বিকল্প বাস্তবে খুবই সীমিত। ১৯৭৫ সালের পর তার দিল্লিতে আশ্রয় ও বেড়ে ওঠা, তার পরিবারের ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ বসবাস, তার স্বামীর ভারতে সরকারি চাকরি এবং সেখান থেকে রাজনীতিতে পুনরুত্থান—সবকিছু মিলিয়ে তার রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব, কৌশলগত আনুগত্য এবং দিল্লিকেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের আর কোনো নেতার মধ্যে এত গভীরভাবে গড়ে ওঠেনি। এই কারণেই ভারতের নীতিনির্ধারকদের কাছে শেখ হাসিনা একজন রাজনৈতিক মিত্রের পাশাপাশি একটি ‘নির্ভরযোগ্য উপাদান’, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতীয় স্বার্থের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারে। বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতার ওপর ভারতের এই স্তরের আস্থা, নির্ভরতা ও প্রভাব-সংযোগ তৈরি হয়নি। এটাই তাদের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনাকে ‘অপরিহার্য’ করে তুলেছিল।

অন্যদিকে একমাত্র আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কিংবা বামদের বড় অংশ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য বৃহত্তম বা সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারত কখনোই প্রকৃত অর্থে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে তাদের উপেক্ষা বা দূরত্ব বজায় রেখেছে। এর ফলে এখন ভারত একটি কৌশলগত দ্বিধায় পড়েছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে, নতুন বাস্তবতায় পুরোনো মডেল কার্যকর নাও হতে পারে; কিন্তু বিকল্প কোনো প্রস্তুত রাজনৈতিক সমীকরণ তাদের হাতে নেই। এ কারণে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা বা তার আওয়ামী লীগকেন্দ্রিক রাজনৈতিক কাঠামোকে আবার বাংলাদেশে প্রভাবশালী করে তোলার চেষ্টাটিকেই তারা এখনো তুলনামূলকভাবে ‘যুক্তিযুক্ত’ মনে করছে। যদিও এই প্রচেষ্টা বাস্তবতা ও জনমতের স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের বিদেশনীতির জন্যই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

তৃতীয়ত, ‘আওয়ামী লীগের কথিত ২০-২৫ শতাংশ ভোট’ আসলে একটি রাজনৈতিক মিথ, যেটার ওপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা এখনো কল্পনা করছেন হাসিনা বা আওয়ামী লীগ সহজেই ফিরে আসতে পারবে, কিন্তু ২০০১ আর ২০২৫ একই বাস্তবতা নয়; হাসিনা পালানোর পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট মৌলিকভাবে পাল্টে গেছে এবং আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে সংঘটিত গণহত্যা, গুম, গণ-গ্রেপ্তার, লুটপাট ও রাষ্ট্রীয় দমননীতির স্মৃতি এখনো জনগণের মনোজগৎকে তাড়া করছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ছাত্রদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আওয়ামী লীগের প্রয়োজনহীনতা নতুন করে দেখিয়ে দিয়েছে। উপরন্তু, আজকের ভোটার বাস্তবতায় যখন প্রবাসী জনগোষ্ঠী, উচ্চশিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও ডিজিটালি সচেতন মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সমীকরণে আনা হয়, তখন এই পুরোনো ‘২৫ শতাংশ ভোটব্যাংক’ ধারণাটি ভেঙে পড়ে এবং বাস্তবসম্মত হিসাবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ভোট সমর্থন সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে আট শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকারই সম্ভাবনা বেশি, যদিও সাম্প্রতিক কিছু জরিপ হয়েছে, সেখানে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সমর্থন পাওয়া গেছে। তবে সেগুলোর বেশিরভাগেই প্রবাসী ভোটার বাদ পড়েছে এবং স্যাম্পলিং ও রিপ্রেজেন্টেশন নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন থেকে যায়। ফলে এসব জরিপের ওপর ভর করে আওয়ামী লীগের রিজার্ভ ভোট তত্ত্বকে সত্য হিসেবে দাঁড় করানো কোনোভাবেই বৈজ্ঞানিক বা রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

ভারতের সম্ভাব্য কৌশলগত অবস্থান কী হতে পারে?

বিগত কয়েক বছরের ভারতের পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষণ করলে অনুমান করা যায়, ভারত এখনো চাণক্যীয় কূটনীতির বৃত্ত থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসতে পারেনি। তার চারপাশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভারত ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও স্বাভাবিক ও সমমর্যাদাভিত্তিক হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত।

১৯৫৯ সালের মার্চ মাসে চীনের তিব্বত অভিযানের সময় তিব্বতের ধর্মীয় রাজনৈতিক নেতা চতুর্দশ দালাইলামা ভারতে আশ্রয় নেন। সে সময় তিনি আশা করেছিলেন, ভারতের সহযোগিতায় একদিন আবারও তিব্বত পুনর্দখল করা সম্ভব হবে। কিন্তু প্রায় ৬৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি, ভবিষ্যতেও তা হবে কি না, তা অনিশ্চিত। এই দৃষ্টান্ত সামনে রেখে বলা যায়, ভারত শেখ হাসিনাকেও অনুরূপ এক ‘রাজনৈতিক বিনিয়োগ’ হিসেবে ধরে রাখতে পারে এই আশায় যে, কোনো এক সময় আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশে তার হারানো প্রভাব ও আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যাবে।

দ্বিতীয়ত, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাভাবিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, তারা নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কার্যত ভারত বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকে পুরোপুরি স্বীকৃতি দেয়নি, বরং তা এক ধরনের অবমূল্যায়নের শামিল। আবার ‘ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার’ ঘোষণার ভেতর দিয়ে ভারত সম্ভবত ধরে নিয়েছে যে, নতুন সরকার জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করবে না, অথবা করলেও ভারতের সঙ্গে আপসের রাজনীতিতে অভ্যস্ত হবে এবং ভারতের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করবে। কিন্তু এখানে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে—ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, যদি তারা জুলাইয়ের জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বা ভারতের তোষণের রাজনীতি অনুসরণ করে, তবে তাদের পরিণতিও স্বাভাবিকভাবে হাসিনা ও তার দলের মতোই হতে বাধ্য। এমন পরিণতি কোনো রাজনৈতিক দলই দ্বিতীয়বার ডেকে আনতে চাইবে না।

বাংলাদেশের করণীয়

বাংলাদেশের প্রথম করণীয় হলো তার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতকে পরিষ্কারভাবে জানানো যে, যে ভুল অনুমানের ওপর দাঁড়িয়ে তারা বর্তমান বাংলাদেশনীতি পরিচালনা করছে, তা বাস্তবতাবিবর্জিত এবং দীর্ঘ মেয়াদে তাদের স্বার্থের জন্যও ক্ষতিকর। ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশকে আর বিভক্ত রাজনৈতিক ক্যাম্পের মধ্যে ঠেলে দিয়ে প্রভাব বিস্তারের পুরোনো কৌশল ‘স্বাধীনতার পক্ষ’ বনাম ‘বিপক্ষ শক্তি’ এখন কার্যকর নয়। জাতীয় ঐক্য ভাঙার এই রাজনীতি অব্যাহত থাকলে তা শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশকে ভারতের ওপর তার সামগ্রিক নির্ভরতা পরিকল্পিতভাবে কমাতে হবে। এই পথে প্রধান কৌশল হবে বহুমুখী কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য ও আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক কৌশলগতভাবে গভীর করে তোলা। এতে বাংলাদেশকে আর কোনো একক শক্তি তার রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক লিভারেজে আটকে রাখতে পারবে না। একইসঙ্গে বিমসটেক, সার্ক ও আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে আরো দৃশ্যমান ও প্রভাবশালী ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে সে নিজেকে একটি ‘নিরাপত্তা অংশীদার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, কেবল ভৌগোলিক করিডোর হিসেবে নয়।

তৃতীয়ত, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের পথ হওয়া উচিত প্র্যাগম্যাটিক হেজিং, অর্থাৎ অন্ধ আনুগত্য নয়, অকারণ বৈরিতাও নয়; বরং সুস্পষ্ট জাতীয় স্বার্থভিত্তিক ভারসাম্য। পানি, সীমান্ত, ট্রানজিট ও রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশের ‘লাল রেখা’ অটল রাখতে হবে, তবে একই সঙ্গে বাণিজ্য ও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বজায় রাখতে হবে।

পরিশেষে, যেহেতু প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটি একটি বড় ও অত্যন্ত সংবেদনশীল রাষ্ট্রীয় ইস্যু, সেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিশেষত যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময়, তাদের এখনই ভারতের বিষয়ে দেশীয় ও বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও কৌশলবিদদের সম্পৃক্ত করে একটি বাস্তবসম্মত ও দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করা জরুরি। কারণ ক্ষমতায় এসে হঠাৎ করে ভারতকে সামলাতে গিয়ে দিশাহারা সিদ্ধান্ত বা কৌশলগত ভুল করার ঝুঁকি থাকলে তা কেবল রাজনৈতিক বিড়ম্বনায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং জাতীয় স্বার্থের জন্যও গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আগাম প্রস্তুতি, তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং পেশাদার কৌশল নির্ধারণই ভবিষ্যতের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক, একাডেমিক ডিরেক্টর, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশনাল স্টাডিজ (সিজিসিএস)

Khaled.du502@gmail.com

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা শঙ্কা

মার্কিন রাজনীতিতে ইহুদি লবির প্রভাব

বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু?

প্রকৌশলীদের গল্প ও ঈশপের কাক

ভারতে সাংবাদিকতার নামে সন্ত্রাস

দেশরক্ষায় বিজিবি

ভূমিকম্প থেকে শিক্ষা

তরুণ নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ

জাতিসংঘের মাধ্যমে গাজার নিয়ন্ত্রণ ট্রাম্পের হাতে

হাসিনার বোঝা নিয়ে উভয় সংকটে ভারত