ফরেন পলিসির বিশ্লেষণ
পাকিস্তানের কূটনীতির জন্য বড় কোনটা বলা মুশকিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাব পাকিস্তানের দিকে ঘুরে গেছে—এটা বড়, নাকি সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের ‘স্ট্র্যাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরের বিষয়টি বেশি বড়? দুটো বিষয়ই দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছে, যদিও মার্কিন ঝোঁক হয়তো সেভাবে স্থায়ী হবে না।
এই চুক্তি দেখিয়েছে যে, গত ছয় মাসে একটা স্মার্ট কূটনীতির প্রবাহ ছিল। পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করেছে। তাতে ক্ষতি হয়েছে ভারতের। পাকিস্তান তুরস্কের সঙ্গেও প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য বাড়িয়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে তারা প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য ও জ্বালানি চুক্তি করেছে। আগস্টে ইরানের প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফরের সময় এই চুক্তি হয়েছে। পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়েছে। সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বেইজিং সফরের সময় এই অগ্রগতি হয়েছে।
পাকিস্তানের সাফল্য বেশ আলাদাভাবে চোখে পড়ে। গত বসন্তে তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ২৪তম ঋণ পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ ছিল, পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত হয়েছেন। টেকনোক্র্যাট কর্মকর্তারা অর্থনীতিকে দ্রুত স্থিতিশীল করে তুলেছেন। পাকিস্তানের কূটনৈতিক অর্জন দেখে তারা বিস্মিত। যদিও এই সময়ে সন্ত্রাসী হামলার মাত্রা বেড়েছে, কিন্তু তার মধ্যেও এই অর্জন করেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসী হামলাগুলো হয়েছে বালুচিস্তানে আর আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে। মূলত পাকিস্তানি তালেবান এই হামলাগুলোর সঙ্গে জড়িত।
দীর্ঘ মেয়াদে পাকিস্তানের এই অর্জনের অর্থ কী? সৌদি-পাকিস্তান চুক্তির কারণ ছিল সম্ভবত ইসরাইলের বোমা হামলা। তারা কাতারে হামাসের অফিসে হামলা করেছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এই হামলা রিয়াদ ও অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোকে অবাক করেছে।
সৌদি আরব এখন নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করতে পারছে না। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেছেন, অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোও চুক্তিতে যুক্ত হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কাতারকে অনেকটা ন্যাটো-স্টাইলের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সৌদি আরবকেও শিগগিরই এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্বেগটাকে বিবেচনায় নিয়েছে। এই অঞ্চলে তারা তাদের ভূমিকাকে আরো সক্রিয় করছে।
সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি ট্রাম্পের লক্ষ্যের জন্য অনুকূল হতে পারে। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখান থেকে পিছু হটতে পারে। তারা পশ্চিম গোলার্ধে মনোযোগ দিতে চায়। সেটা হলে উপসাগরীয় অঞ্চলে পাকিস্তানের বড় ভূমিকাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, কারণ এর মাধ্যমে সেখানে বাড়তি সুরক্ষা যুক্ত হবে। পাকিস্তান ট্রাম্পের গাজা শান্তি চুক্তিতে সমর্থন দিয়েছে। এর মাধ্যমে ইসলামাবাদ ট্রাম্পের সুদৃষ্টিতে এসেছে।
কিন্তু উপসাগরীয় অঞ্চলের সম্পর্কের গভীরতা পাকিস্তানকে সংঘাতে টেনে নিতে পারে। এর মধ্যে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধও রয়েছে। অথবা ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা কাজ করলে শান্তি বাহিনীতেও পাকিস্তানকে ডাকা হতে পারে। সৌদি আরব ভারতকে তেল দিচ্ছে। নয়াদিল্লির সঙ্গে রিয়াদের অংশীদারত্বও আছে। ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তানের কোনো সংঘাত লাগলে সৌদি আরবের জন্য পক্ষ বেছে নেওয়া কঠিন হবে।
কেউ কেউ বলেছেন, এই চুক্তি পুরোনো সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিকতা দিয়েছে মাত্র। এটা বড় কোনো পরিবর্তন নয়। এটা হয়তো বর্ধিত প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে। একটি সুন্নি মুসলিম দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙে পড়েছে। বব উডওয়ার্ড ২০২৪ সালে ‘ওয়্যার’ নামে একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে উদ্ধৃত করেন। এমবিএস এক মার্কিন সিনেটরকে বলেছিলেন, ‘বোমা তৈরির জন্য আমার ইউরেনিয়াম কেনার দরকার নেই। আমি পাকিস্তানের কাছ থেকে একটা কিনে নেব।’
যৌথ বিবৃতিতে ন্যাটো-স্টাইলের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘দুই দেশের যে কারো বিরুদ্ধে হামলা হলে সেটা অন্য দেশের ওপর আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে।’ কীভাবে তারা হামলার জবাব দেবে, সেটা অবশ্য এখনো যাচাইয়ের সুযোগ আসেনি।
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি সেই সত্তরের দশক থেকে চলে আসছে। পাকিস্তানি কমান্ডোরা ১৯৭৯ সালে সৌদিকে সাহায্য করেছিল। মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা তারা রুখে দিয়েছিল। সৌদি আরবে এই মুহূর্তে দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা রয়েছে। তারা সৌদি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়। পাকিস্তানের সৌদি অর্থের প্রয়োজন। গত ডিসেম্বরে রিয়াদ তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। গোয়াদরে তারা তেল শোধনাগারের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে। এই অর্থটা চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে।
সবচেয়ে বড় অর্জন হলো মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কের ফিরে আসা। এটাকে চীনে নিক্সনের সফরের সঙ্গে তুলনা করা যায়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার সময় থেকে মার্কিন-পাক সম্পর্ক ছিল দুর্বল। এখন এই সম্পর্ক মার্কিন-ভারত সম্পর্কেও ভাঙন ধরিয়েছে। ভারত শঙ্কায় আছে, তাদের ২৫ বছরের কাজ হয়তো ভেস্তে যাবে। ট্রাম্পের আগে ওয়াশিংটন ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেছে। ভারত তখন প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের অখণ্ড সমর্থন পেয়েছিল। ভারত চীনের মোকাবিলা করেছিল। সেটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলের অংশ।
নতুন মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্থান হয়েছে ইতিবাচক ঘটনার মধ্য দিয়ে। মার্চে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের এক নেতাকে ধরতে সাহায্য করেছিল। সে কাবুলে অ্যাবি গেট বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। ওই হামলায় ২০২১ সালে ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল। মার্কিন সেন্টকম কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলা এই সহায়তার কারণে পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন। সন্ত্রাস দমনে এটাকে তিনি ‘অসামান্য সহযোগিতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এর পরপরই ট্রাম্প আর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্তেজনাপূর্ণ ফোনকল দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরায়। পাকিস্তানের জন্য এতে দরজা খুলে যায়। মে মাসে অস্ত্রবিরতির জন্য ক্রেডিট দাবি করেন ট্রাম্প। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর ওই অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। ট্রাম্প বলেন, ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংঘাতের সমাধান করেছেন তিনি। কাশ্মীর ইস্যুতেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন তিনি। ভারত এটাকে নিজেদের রেডলাইন জ্ঞান করে। এই প্রস্তাবের তাই তারা বিরোধিতা করেছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যে মোদি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ট্রাম্পকে তিনি কল করেন। মোদি বলেন, অস্ত্রবিরতি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে, ট্রাম্প সেটা করেননি। ট্রাম্প এই কলে হতাশ হয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান ট্রাম্পের প্রশংসা করেছে। তার মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানিয়েছে। নোবেল পুরস্কারের জন্য তার মনোনয়নকে সমর্থনও দিয়েছে।
এর পরপরই ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। রাশিয়ার সস্তা তেল কেনার জন্য এই শুল্ক আরোপ করা হয়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রই একসময় এতে উৎসাহ দিয়েছিল। ট্রাম্প আর তার কর্মকর্তারা ভারতের সমালোচনা করেছেন এ সময়। জুলাই মাসে ট্রাম্প ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির’ দেশ বলে আখ্যা দেন। ২০২৪ সালে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ভারতকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ভারত রাশিয়ার তেল থেকে মুনাফা লুটছে।
ভারতের প্রতি মার্কিন ক্ষোভ পাকিস্তানকে সুবিধা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জুন মাসে দুই ঘণ্টাব্যাপী লাঞ্চের আয়োজন হয়। লাঞ্চটা ছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান আসিম মুনির আর ট্রাম্পের মধ্যে। ট্রাম্প শরিফের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন—জাতিসংঘে, হোয়াইট হাউসে এবং মিসরে গাজা সম্মেলনে তাদের বৈঠক হয়েছে।
পাকিস্তান ট্রাম্পের কাছ থেকে ভালো বাণিজ্য চুক্তি পেয়েছে। শরিফ দুটো বড় পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন। পাকিস্তানের তেল রিজার্ভ উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, এগুলো বিশাল। পাকিস্তান তাদের তেলের ৮০ শতাংশই আমদানি করে থাকে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রকে অধিকার দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফার্ম ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অ-ন্যাটো দেশের মর্যাদা ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি তারা রাশিয়া ও চীনের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নতি করছে।
তবে এসব অর্জন স্থায়ী নাও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি মিথ্যাও হতে পারে। তেলের রিজার্ভ হয়তো পাকিস্তানের সেভাবে নেই। এক্সনমোবিল অনুসন্ধান করে কিছু পায়নি। তারা চলে গেছে। বড় কিছু পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা পাকিস্তানের কর্মকর্তারাও দেখছেন না।
পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ আছে। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগই বালুচিস্তানে। সেখানে সন্ত্রাসী হামলার মাত্রা বাড়ছে। তাদের টার্গেট হলো সরকার। এই হামলা চীনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাজটাও সেখানে সহজ হবে না।
পাকিস্তান মস্কো আর বেইজিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছে। বড় শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার মধ্যে এটা ধরে রাখা কঠিন হবে। মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক ব্যর্থ হলে কী হবে? প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ না হলে কী হবে?
মার্কিন-ভারত বিরোধ ট্রাম্পের কৌশলও হতে পারে। বাণিজ্য চুক্তির জন্য তার চাপ দেওয়ার অস্ত্র দরকার। আলোচনা ঠিকই নীরবে চলছে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, তিনি সবসময়ই মোদির বন্ধু থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিশেষ বন্ধুত্ব রয়েছে। ১৫ অক্টোবর ট্রাম্প বলেছেন, মোদি রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভারত এ কথা অস্বীকার করেছে।
ভারতের ব্যাপারে মার্কিন নীতিতেও পরিবর্তন হয়নি। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণেই সেটা অপরিবর্তিত আছে। এই নীতির দ্বারাই নিরাপত্তা ও শিল্পগুলো একটা চেহারা পাচ্ছে। যদিও বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে, আবার ট্রাম্প-শি বৈঠকও হচ্ছে। চীনের বিপরীতে ভারতের অবস্থানটা ওয়াশিংটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সম্পর্ক কাটছাঁটের কারণে ভারতের যে ক্ষোভ, সেটা হয়তো স্থায়ী হবে।
পাকিস্তানের কূটনীতি কিছু প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি কি অতি পরিবর্তনশীল? নাকি বিভাজনটাই এখানে স্থায়ী হবে? ইরান এখানে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? তারা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এই চুক্তি সৌদি-ইরান সম্পর্কে সাহায্য করবে, না ক্ষতি করবে?
চীন কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরালো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনাকেও তারা স্বাগত জানাচ্ছে। পাকিস্তানের কূটনীতিতে প্রতিশ্রুতি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভারত-চীনের বিবাদ এখনো রয়ে গেছে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখন চরম পর্যায়ে চলে গেছে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্য প্রতিশোধ আর সুযোগ হারানোর বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে।
পাকিস্তানের পদক্ষেপগুলো সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য—এগুলো টিকে থাকুক বা না থাকুক। এই পদক্ষেপগুলো তাদের অবস্থানকে মজবুত করেছে। তাদের সমর্থন ও প্রতিশ্রুতির বলয়ে বৈচিত্র্য এসেছে। আবার একই সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এর মাধ্যমে আরো অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ফরেন পলিসি অবলম্বনে জুলফিকার হায়দার