হোম > রাজনীতি

গণভোট নিয়ে সময়ক্ষেপণের চালাকি সরকারকে বিপদে ফেলবে

সমাবেশে ডা. তাহের

স্টাফ রিপোর্টার

ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন নিয়ে সময়ক্ষেপণের চালাকি বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদানের আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে জামায়াতসহ আট দল আয়োজিত যুগপৎ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে রাজধানীর শান্তিনগর মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং মতিঝিল শাপলা চত্বরে ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সমাবেশ হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে জমায়েত হন নেতাকর্মীরা। এছাড়া পল্টন মোড়ে আগে থেকেই জড়ো হয়ে সমাবেশ শুরু করেন ইসলামী আন্দোলন নেতাকর্মীরা। পর্যায়ক্রমে সেখানে খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, জাগপা, নেজামে ইসলাম পার্টি ও ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন।

সমাবেশে ডা. তাহের বলেন, ‘আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করবো। এতেও দাবি পূরণে কোনো উন্নতি না হলে আগামী ১১ নভেম্বর তারিখ ‘চলে চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে রক্তের পর দেশে মানুষের অধিকার আদায়ে অল্প সময়ের মধ্যে আবার আমাদের রাস্তায় আসতে হয়েছে-এটা দুর্ভাগ্যজনক। প্রয়োজনে আবার রক্ত দেব, তবু জুলাইয়ের অর্জন ব্যর্থ হতে দেব না। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তির মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবেই ইনশাআল্লাহ।

ডা. তাহের বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আছি। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাকাবাঁকা

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আলোচনার জন্য বললেই হবে না, সরকারকে রেফারির ভূমিকা নিতে হবে। একইসঙ্গে বিএনপিকে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার আমাদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে। ১০ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে ১১ তারিখে ঢাকা অচল করে দেয়া হবে। আগে গণভোট ছাড়া জাতীয় নিবার্চন হবে না। প্রয়োজনে এই নির্বাচন দুই মাস পরে হবে।

এ সময় নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাগপা সহসভাপতি প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান, বিডিপি সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে দুপুর ১২টায় স্মারকলিপি দিতে আট দলের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব-কদম ফোয়ারা হয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে পৌঁছালে সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয় পুলিশ। পরে সেখান থেকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে আট দলের প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপি প্রদানের আগে গোলাম পরওয়ার সেটি সাংবাদিকদের সামনে পড়ে শোনান। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা বসতে প্রস্তুত। আমরাই আগেই এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আমরা আশাবাদী। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে গণভোট না হলেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংকট হতে পারে।

গণভোট ও সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: গাজী আতাউর রহমান

দুবাইয়ে মিষ্টি বিতরণ করা সেই প্রবাসীকে নিয়ে যা বললেন হাসনাত

জামায়াতসহ আট দলের স্মারকলিপিতে যা আছে

‘বিশেষ’ নির্বাচনি কৌশলে এগোচ্ছে জামায়াত

গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

নো হাঙ্কিপাঙ্কি, আগেই গণভোট হতে হবে: তাহের

সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে বাঁকা করবো, ঘি আমাদের লাগবেই

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের শুভেচ্ছাবার্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে জড়ো হচ্ছেন ৮ দলীয় নেতাকর্মীরা