বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সেখানে জন্ম নেওয়া খালেদা জিয়া স্থানীয়দের কাছে পুতুল নামে পরিচিত।
জলপাইগুড়ি জেলায় ১৯৪৫ সালে জন্ম খালেদা জিয়ার। তার বাবা মুহম্মদ ইসকান্দর সেখানকার একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। স্থানীয় সুনীতাবালা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন খালেদা।
১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশে চলে আসে খালেদা জিয়ার পরিবার। এরপর আর জলপাইগুড়িতে ফেরা হয়নি তার।
তবে জলপাইগুড়ির মানুষ এখনো খালেদা জিয়াকে ভোলেনি। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ছিল জলপাইগুড়ি শহরের নয়াবস্তি এলাকা। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার স্কুল সুনীতাবালা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শোক প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
সুনীতাবালা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরূপ দে গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। স্কুলের তরফ থেকে তার পরিবারকে সমবেদনা জানাই।
তিন বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্মরণসভা নিয়ে কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে একটি দিন ঠিক করা হবে।
জলপাইগুড়ি জেলার নয়াবস্তির স্থানীয় বাসিন্দা এবং খালেদা জিয়ার বান্ধবীর কন্যা চামিলি বিশ্বাস জানিয়েছেন, আমাদের এই নয়াবস্তিতেই খালেদা জিয়া থাকতেন। আমার মা থাকলে আরো ভালো বলতে পারতেন। কারণ তখন আমার মা এখানেই ছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িটি যারা কিনেছিল, তারা বাড়ি তৈরি করেছে ঠিক কিন্তু এখন তারা এখানে কেউ থাকেন না। তার বিষয়ে আমি বিশেষ কিছু বলতে পারব না। আমার মা বলতে পারতেন। তবে আমার মায়ের মুখে শুনেছি, তারা এখানে থাকতেন। আমার মায়ের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল।