সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
বিক্ষোভে তারা, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদ জানান এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ‘ভারতের সংশ্লিষ্টতা’ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান। তারা অভিযোগ করেন, ভারতের আগ্রাসী অবস্থান ও সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ হক বলেন, সীমান্তে বারবার বাংলাদেশিদের হত্যা করলেও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার দৃশ্যমান কোনো কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না।
তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে সীমান্তে অন্তত ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। যার অধিকাংশই সাধারণ কৃষক, দিনমজুর বা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। সরকার পরিবর্তনের পরও এই হত্যাকাণ্ড কমেনি।”
কুমিল্লা সীমান্তে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বিএসএফ যেভাবে পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যা করছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ওপর কোনো কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি।”
পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ওই ঘটনার তদন্তে “ভারতের সংশ্লিষ্টতা” উঠে এসেছে, অথচ এখনও এর বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই। সেদিন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল বাংলাদেশকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র ছিল।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ভারতের কাছে নতি স্বীকার করেছে। যদি সরকার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণই সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।
এ সময় তারা, বিএসএফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে অভিযোগ দায়ের করার আহ্বান জানান এবং সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।