বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম
ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রীতিমতো ধর্মযুদ্ধে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। রোববার গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পদদলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রীতিমতো ধর্মযুদ্ধে নেমেছে। সম্প্রতি দেশটিতে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে একের পর এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। শুধু সংখ্যালঘু মুসলিমরাই নয়, সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও আক্রান্ত হচ্ছে। দেশটির বেশ কিছু রাজ্যে এবার খ্রিস্টানদের ধর্মীয় ‘বড়দিন’ উৎসব উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বীভৎস সহিংসতা ও বাধার শিকার হয়েছে। আমরা এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং দেশটিতে মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পদদলনের কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের ইউনূস সরকারকেও সোচ্চার হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতিবাদী ঘৃণা ও মুসলিমবিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে। কলকাতার এক প্রভাবশালী বিজেপি নেতা ইসরাইল যেভাবে গাজাকে ‘শেষ’ করেছে, সেভাবে বাংলাদেশকেও শেষ করার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া মেইনস্ট্রিম ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার অব্যাহত রেখেছে। আধিপত্যবাদী স্বভাব ও ইসরাইলি আচরণ বন্ধ না করলে ভারতের সঙ্গে কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পক্ষে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা অসম্ভব বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামে ৪টি হিন্দু বাড়িতে পতিত ফ্যাসিস্টরা আগুন দিয়েছে। গত মাসে ঢাকায় খ্রিস্টানদের চার্চ ও স্কুলের সামনে ককটেল ফুটিয়ে তারাই সংখ্যালঘুদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো সম্পর্ক নেই। এসব বরং হীন রাজনৈতিক স্বার্থে পতিত ফ্যাসিস্ট ও আধিপত্যবাদী শক্তির যৌথ কারসাজি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত ও আক্রান্ত হলে সেটির রাজনৈতিক ফায়দা তোলে নিষিদ্ধ ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগ ও ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা। ফলে যারা বেনিফিশিয়ারি, তারাই সংখ্যালঘু নির্যাতনের মূল কুশীলব। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সব চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।