রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারক করছে।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত রোববার রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের জন্য গঠিত যে মেডিকেল বোর্ড আছে, তাদের পরামর্শক্রমে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কেবিনে আছেন।
এদিকে প্রায় ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় আজ শুক্রবার বাদ জুমা সারা দেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মোনাজাতে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে একদিন থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে তিনি বাসায় ফিরে যান।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর ২৫ জানুয়ারি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন তিনি। উন্নত চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। সেখানে চার মাস অবস্থানকালে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা হয়। ঢাকায় আসার পর নিজ বাসাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।