অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে সিরিজ
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুরন্ত ব্যাটিং করলেন উজাইরুল্লাহ নিয়াজাই। ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়ে সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন। তাকে দমাতে না পারলেও ফাইফার পেয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন। জবাবে জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন কালাম সিদ্দিকী অ্যালিন। সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন রিজান হোসেন।
আলোকস্বল্পতায় বিঘ্নিত প্রথম যুব ওয়ানডেতে ব্যবধানটা ঠিক এখানেই গড়ে ফেলেছে বাংলাদেশের যুবারা। অসাধারণ নৈপুণ্যে ডিএলএস মেথডে নাটকীয়ভাবে আফগান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৫ রানে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দারুণ এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা রাঙাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দেশের যুবারা এগিয়ে রইল ১-০ ব্যবধানে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৫ রানের পুঁজি গড়ে আফগানরা। নিয়াজাই ১৩৭ বলে খেলেন ১৪০ রানের হার না মানা চমৎকার এক ইনিংস। আফগান ওপেনার খালিদ আহমাদজাই দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩৪ রান। তার সঙ্গে দলকে ৩৩ রান এনে দেন ফয়সাল সাদাত। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ৫৭ রান খরচ করে একাই ৫ উইকেট শিকার করেছেন ম্যাচসেরা ইকবাল হোসেন ইমন।
আলোকস্বল্পতায় ম্যাচের পরিধি কমে যায় ৪ ওভার। মানে ম্যাচ শেষ হয়ে যায় ৪৬ ওভারে। খেলা যখন থামে, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৩১ রান। কিন্তু ডিএলএস মেথডে ৫ রানে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২৭ রান। সে হিসাবে এগিয়ে থাকায় জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতে বাংলাদেশের ছেলেরা।
তবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না আজিজুল হাকিম তামিমদের। দলীয় ১৪ রানে ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও দলীয় স্কোরে আর এক রান যোগ হতেই ফেরেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। দলীয় ৬০ রানে পড়ে যায় তৃতীয় উইকেটও।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকীর ১৬০ বলে ১৩৯ রানের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। গড়ে নেয় জয়ের ভিত। কালাম সিদ্দিকী ১০১ রানের দাপুটে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেও ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে যান রিজান। দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল : ২৬৫/৯, ৫০ ওভার (উজাইরুল্লাহ ১৪০*, খালিদ ৩৪, ফয়সাল ৩৩; ইকবাল ৫/৫৭ ও রিজান ২/৫৪)।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল : ২৩১/৪, ৪৬ ওভার (কালাম ১০১, রিজান ৭৫*, রিফাত ২৬; ওয়াহিদউল্লাহ ২/৪৭)।
ফল : ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : কালাম সিদ্দিকী অ্যালিন।