একাই করলেন দলের অর্ধেকের বেশি রান। করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তবে ইংল্যান্ডের হার রুখতে পারলেন না হ্যারি ব্রুক। নিউজিল্যান্ডের দলীয় পারফর্ম্যান্সের কাছে হার মানতে হলো ইংলিশদের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড।
মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ে শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন জেমি স্মিথ। এরপর আরও দুই উইকেটের পতনে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ রানে ৩ উইকেট! জো রুট আউট হন ২ রানে। উইকেট পতনের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে নবম ওভার পর্যন্ত। এর মধ্যেই ৩৩ রানে নেই ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট।
সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন ব্রুক। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে সুইং সহায়ক পিচে নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপরীতে ঝড় তোলেন ইংলিশ অধিনায়ক। মাত্র ১০১ বলে খেলেন ১৩৫ রানের দারুণ একটি ইনিংস। তার ব্যাটেই ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত পৌঁছায় ২২৩ রানে। তার ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কা। লুক উডের সঙ্গে গড়েন ৫৭ রানের পার্টনারশিপ।
ব্রুকের ‘ওয়ান ম্যান শো’ কাজে না এলেও তার ইনিংসটি রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছে। ইংল্যান্ডের ইনিংসে হ্যারি ব্রুকের ব্যাট থেকে এসেছে দলের মোট রানের ৬০.৫৩ শতাংশ (১৩৫ রান)। ওয়ানডে ক্রিকেটে সম্পূর্ণ ইনিংসে কোনও ইংলিশ ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অবদান এটি। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল রবিন স্মিথের দখলে। ১৯৯৩ সালে বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৭৭ রানের মধ্যে স্মিথ করেন ১৬৭ রান। যা ছিল দলের মোট রানের ৬০.২৮ শতাংশ।
রান তাড়ায় নেমে ব্রাইডন কার্সের নতুন বলে দুর্দান্ত স্পেলে তিন উইকেট হারিয়ে গেলেছিল নিউজিল্যান্ড। এক পর্যায়ে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু ইংল্যান্ডের ফিল্ডিং ব্যর্থতায় জীবন পেয়ে মাইকেল ব্রেসওয়েল ৫১ ও ড্যারিল মিচেল খেলেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে পরে জুটি গড়েন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার (২৭)। মিচেলের ৯১ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৩৫.২ ওভারে ২২৩ (ব্রুক ১৩৫, ওভারটন ৪৬, উড ৫*; ফকস ৪/৪১, ডাফি ৩/৫৫)।
নিউজিল্যান্ড: ৩৬.৪ ওভারে ২২৪/৬ (মিচেল ৭৮*, ব্রেসওয়েল ৫১, স্যান্টনার ২৭; কার্স ৩/৪৫)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হ্যারি ব্রুক।