ফিফপ্রো
বর্ণিল ফুটবল ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছে গেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের মতো পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও রয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে। বয়স দুজনের কাছে এখন সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। চির সবুজ তারুণ্য ধারণ করে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন তারা এখনো। দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদেই ফিফপ্রোর বর্ষসেরা একাদশের প্রাথমিক তালিকায় জায়গাও করে নিয়েছিলেন দুজন। কিন্তু চূড়ান্ত একাদশে জায়গা পাননি মেসি-রোনালদো। তরুণদের পেছনে ফেলে সেরা একাদশে নাম লিখতে পারেননি এই দুই ফুটবল কিংবদন্তি।
মেসি-রোনালদো হতাশ হলেও নতুন ইতিহাস লিখেছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড বনে গেছেন ফিফপ্রোর একাদশে জায়গা পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ফিফপ্রোর একাদশে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার গৌরব স্পর্শ করেছেন তিনি। তার আগে সবচেয়ে কম বয়সে ফিফপ্রোর একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ২০১৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে এ ফরাসি তারকা জায়গা পেয়েছিলেন ফিফপ্রোর একাদশে।
পিএসজি আধিপত্য বিস্তার করে গেছে ২৬ জনের প্রাথমিক তালিকায়। এবার চূড়ান্ত একাদশেও রাজত্ব করছে ফ্রান্সের জায়ান্ট ক্লাবটি। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের পাঁচজন ফুটবলার জায়গা পেয়েছেন একাদশে- জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পরে ক্লাব বদল করেছেন), আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস, ভিতিনিয়া ও উসমান দেম্বেলে।
স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা ফিফপ্রোর একাদশে জায়গা পেয়েছেন জুড বেলিংহাম, কিলিয়ান এমবাপ্পে, লামিনে ইয়ামাল ও পেদ্রি। লিভারপুলের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন কেবল ভার্জিল ফন ডাইক। চেলসি থেকে আছেন কোল পালমার।
ফিফপ্রোর সেরা একাদশ ২০২৫
গোলকিপার: জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
রক্ষণভাগ: ভার্জিল ফন ডাইক, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস।
মাঝমাঠ: জুড বেলিংহাম, কোল পালমার, পেদ্রি ও ভিতিনিয়া।
আক্রমণভাগ: উসমান দেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লামিনে ইয়ামাল।