ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছিল সান্ত্বনার জয়। জয়ের সেই ধারা তারা নিয়ে গেল টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ক্যারিবীয়রা শুরুটা রাঙাল জয়ের রঙে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজ জিতল ১৬ রানে।
জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৬৬। টার্গেটটি তাড়া করতে নেমে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ছিল যাচ্ছে তাই। ৭৭ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে তারা ৬ উইকেট। তাওহীদ হৃদয়ের (২৮) লড়াইয়ের পর আশা জাগিয়ে ছিল নাসুম আহমেদ (২০) ও তানজিম হাসান সাকিবের (৩৩) দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডেন সিলস ৩টি আর আকিল হোসেইন দুটি উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রভম্যান পাওয়েল ঝড়ে বড় সংগ্রহ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অধিনায়ক শাই হোপ, দুজনের ব্যাটে শেষ ৫ ওভারে ৬৪ রান তুলেছে ক্যারিবীয়রা। এর মধ্যে তানজিম হাসান সাকিবের করা শেষ ওভারে ৩ ছক্কায় ২২ রান তুলেছেন পাওয়েল। তাতে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করেছে হোপের দল।
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের আটসাট বোলিংয়ের সামনে পড়ে উইন্ডিজ। প্রথম ১৭ ওভারে দারুণ বোলিং করে লিটন দাসের দল। তবে শেষ ৩ ওভারেই এলোমেলো হয়ে যায় হিসেব। শেষ ৩ ওভারে তাসকিন-মোস্তাফিজ-তানজিম মিলে দিলেন ৫১ রান। এর মধ্যে সিকিভাগ রান পাওয়েলের।
নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম ১৮ বলে মাত্র ৯ রান নিতে পেরেছিলেন পাওয়েল। । ছিল না কোনো বাউন্ডারি। কিছুতেই যেন ব্যাটে–বলে হয়ে উঠছিল না। সেই পাওয়েল এরপর ১০ বল খেলে নিলেন ৩৫ রান। মারলেন ১ চার ও ৪ ছক্কা। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে তানজিম হাসানের টানা ৩ বলে মারলেন ছক্কা!
শেষ ৭ বলের মধ্যে চারটি ছক্কা মেরে দলকে বড় সংগ্রহই এনে দিলেন পাওয়েল। নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টিতে ২৮ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। অবশ্য ৭ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তানজিম হাসান। ২৮ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক হোপ। সাবেক ও বর্তমান অধিনায়কের ৪৬ বলের জুটিতে আসে ৮৬ রান।