গাজায় আরো ১০০ টন ত্রাণ পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিশেষ নির্দেশনায় আজ সোমবার এসব ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। রোববার এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
এসময় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি পাকিস্তানের অটল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত বরাবর দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে একটি স্থায়ী রাজনৈতিক নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে পাকিস্তান ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে আছে এবং তাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার মালিক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এনডিএমএ এবং আলখিদমত ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পাকিস্তানে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানি জনগণকে তাদের অব্যাহত সমর্থন এবং উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
১০০ টন ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ১৭তম চালানটি আজ সোমবার ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ফেডারেল সরকার দুটি বিশেষ ফ্লাইটে ২০০ টন ত্রাণ গাজায় পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি ১০০ টন আগামী দিনে পাঠানো হবে।
সবশেষ চালানের মধ্যে রয়েছে ৬৫ টন খাবার, শিশুদের জন্য ২০ টন গুঁড়ো দুধ, ৫ টন বিস্কুট এবং ১০ টন ওষুধ।
এ নিয়ে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ১৭টি চালানের মাধ্যমে গাজায় এক হাজার ৭১৫ টন ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। আগামী দিনে পরবর্তী চালান পাঠানো হলে মোট এক হাজার ৮১৫ টনে পৌঁছাবে।
আরএ