গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০৪-এ দাঁড়িয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, হামাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে তারা ‘সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা করেছে। এ ছাড়াও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ ইসরাইলি সেনা হত্যা এবং জিম্মি মৃতদেহ হস্তান্তরের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, হামলার সাথে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কোনও কিছুই গাজা যুদ্ধবিরতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। তবে কোনও সৈন্যকে টার্গেট করা হলে ইসরাইলের পাল্টা আঘাত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরাইল গাজা শহর, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া, বুরেজি, নুসেইরাত এবং খান ইউনিস এলাকায় ঘরবাড়ি, স্কুল ও আবাসিক এলাকায় হামলা করেছে। গাজা শহরের প্রত্যক্ষদর্শীরা আবাসিক এলাকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠার তথ্য দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে যে, নিহত ১০৪ জনের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪৬ এবং নারী রয়েছেন ২০ জন। এছাড়া আরও অনেক হতাহত রয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ জানায় যে, ইয়না এফরাইম ফেলডবম নামে তাদের একজন মাস্টার সার্জেন্ট নিহত হয়েছে এবং রাফাহ শহরের ইসরা্ইল নিয়ন্ত্রিত এলাকার ইয়েলো জোনে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলি সৈন্যদের ওপর কোনও হামলা করেনি।