ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালানোর সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিগত কয়েকদিনে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক এবং লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে আমেরিকান সামরিক উপস্থিতি জোরদার করার পর এই ইঙ্গিত দেন তিনি।
ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য বিকল্পগুলো ট্রাম্পকে ব্রিফ করেছেন দেশটির নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার সম্ভাবনা, ঝুঁকি এবং কৌশল নিয়ে ট্রাম্প এখন বিভিন্ন দিক বিবেচনা করছেন।
এদিকে, ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’-এর অংশ হিসেবে দেশটির সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলে এক ডজনেরও বেশি যুদ্ধজাহাজ ও প্রায় ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।
শুক্রবার ট্রাম্প দাবি করেন, অবৈধ অভিবাসন ও মাদক প্রবাহ রোধের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তিনি। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কী করব। তবে এই মুহূর্তে তা প্রকাশ করতে পারছি না।
এর আগে বুধবার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সম্ভাব্য সামরিক কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
দুই বৈঠকেই যে প্রস্তাবগুলো উঠে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ভেনেজুয়েলায় সরাসরি সামরিক অভিযান, মাদক পাচারের রুটে বিমান হামলা ও মাদুরো সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অন্য কোনো পদক্ষেপ।