কূটনৈতিক উত্তেজনা
কূটনৈতিক উত্তেজনার জেরে বেইজিং থেকে ভ্রমণ সতর্কতা জারির পর জাপানে চীনা পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন দোকান, রেস্তোরাঁ ও হোটেলে। তবে চীনা পর্যটকদের এই কম উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন জাপানের ব্যবসায়ীরা।
টোকিওর আসাকুসা এলাকার একটি জুয়েলারি দোকানের ব্যবস্থাপক শিনা ইতো এএফপিকে জানান, চীনা ক্রেতা কমে গেলেও স্থানীয়রা এখন বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে আসছেন, ফলে মোট বিক্রি কমেনি। সাধারণত তার দোকানের অর্ধেক ক্রেতাই চীনা পর্যটক হন।
জাপানের পর্যটন ও খুচরা বাণিজ্যের ওপর চীনা ভ্রমণকারীদের নির্ভরতা উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য দেশের পর্যটকদের তুলনায় তারা খাবার, প্রসাধনী ও বিলাসপণ্যে বেশি ব্যয় করেন। এজন্য অনেক হোটেল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও ফার্মেসিতে মান্দারিনভাষী কর্মী রাখা হয় এবং দোকানজুড়ে চীনা ভাষায় সাইনবোর্ড দেখা যায়।
টোকিওর গিনজা এলাকার জনপ্রিয় উদোন নুডল রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক ইউকি ইয়ামামোটোও জানান, চীনের ভ্রমণ সতর্কতার পরও তাদের বিক্রিতে তাত্ক্ষণিক কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তার মতে, জাপানি গ্রাহকদের নিয়মিত উপস্থিতিই তাদের আস্থার জায়গা।
২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন চীনা নাগরিক জাপান ভ্রমণ করেছেন, যা মোট বিদেশি পর্যটকের এক-চতুর্থাংশ। গত বছর ৩৬.৮ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটকের রেকর্ড আগমনের পর অতিরিক্ত পর্যটনের প্রভাব নিয়ে জাপানি সমাজে উদ্বেগ রয়েছে।
চীনা পর্যটকের সাম্প্রতিক হ্রাস সেই উদ্বেগ কিছুটা কমালেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় বাজারের ভরসা থাকায় তাদের বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
এসআর