চীন পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ জলসীমায় ১০০–র বেশি সামরিক ও কোস্টগার্ড জাহাজ মোতায়েন করেছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নৌ–শক্তি প্রদর্শন করেছে বলে জানিয়েছে চারটি সূত্র ও রয়টার্স যাচাই করা গোয়েন্দা নথি। যদিও কোনো বড় সামরিক মহড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই। তবে তৎপরতা দ্রুত বেড়ে গেছে—বিশেষত এমন সময়ে যখন জাপান ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চরম টানাপোড়েনে।
সূত্রগুলো জানায়, ইয়েলো সি থেকে পূর্ব চীন সাগর হয়ে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত চীনা জাহাজগুলো ছড়িয়ে আছে। সপ্তাহের শুরুতে এই সংখ্যা ১০০–র বেশি ছিল; বৃহস্পতিবার সকালেও ৯০–টির বেশি জাহাজ সক্রিয় ছিল—যা গত বছরের ডিসেম্বরের বিশাল নৌ তৎপরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
তাইওয়ানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ব্যুরোর প্রধান সাই মিং-ইয়েন জানান, চীন বর্তমানে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চারটি নৌ ফরমেশন পরিচালনা করছে, যেগুলো তাইওয়ান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তের দপ্তর বলেছে, তারা পরিস্থিতির ওপর “রিয়েল-টাইম নিয়ন্ত্রণ” বজায় রেখেছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ নেই।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির তাইওয়ান আক্রমণ হলে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়ার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ চীন সম্প্রতি জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আপত্তি জানায়। এক আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনার পর থেকেই চীনা জাহাজ মোতায়েন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে—যা “চীনের প্রতিরক্ষা চাহিদার বহু বেশি”। এটি আঞ্চলিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
সূত্র জানায়, কিছু চীনা নৌযান ও যুদ্ধবিমান বিদেশি জাহাজের বিরুদ্ধে মক হামলা চালিয়েছে এবং অ্যাক্সেস–ডিনায়াল কৌশল অনুশীলন করেছে। তবে বেশিরভাগ দেশের মূল্যায়ন—এটি আপাতত বড়সড় শক্তি প্রদর্শন হলেও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধঝুঁকি সৃষ্টি করছে না, বরং রুটিন মহড়ার মতো দেখাচ্ছে।
তাইওয়ান সংলগ্ন এলাকায় চীনা জাহাজের সংখ্যা বড়ো ধরনের বৃদ্ধি পায়নি। পূর্ব এশিয়ার জলসীমায় চীনের এ ধরনের অভূতপূর্ব নৌ–তৎপরতায় আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
এসআর